UP Shocker: লিভ ইনে ছিল বাড়ির মেয়ে, ঘরে ফিরতেই বাবা-ভাই দুজনে মিলে…

পড়াশোনা, চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো কোনও কিছুই বড় বিষয় নয়। নিজের মত করে, প্রিয় মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করতে গিয়ে চরম মূল্য দিতে হল উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের এক তরুণীকে। জঙ্গলে পাওয়া গেল তার দগ্ধ দেহ। তদন্তে নেমে ওই তরুণীর ভাই ও বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ফলে উঠে এল সেই সম্মানরক্ষায় খুনের ঘটনা।

বছর তেইশের সরস্বতী মালিয়ান চাকরি করতেন গুরুগ্রামের এক ই-কমার্স কোম্পানিতে। তাঁর দোষ হল তিনি লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন নিজের গ্রামেরই অমিত নামে এক যুবকের সঙ্গে। পুলিসের বক্তব্য, সম্প্রতি সরস্বতী ঘরে ফিরেছিল। বাড়ির লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যাতে তারা অমিতকে মেনে নেন। কিন্তু তা করতে গিয়েই ভয়ংকর পরিণতি হল তার।

মুজাফফরনগর পুলিস সূত্রে খবর ২০১৯ সালে বিয়ে হয়েছিল সরস্বতীর। কিন্তু ২ বছর পর সে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসে। ২০২২ সালে তার ফের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। কিন্তু সরস্বতীকে রাজি করানো যায়নি। বরং সে অমিতের সঙ্গে গুরুগ্রামে থাকতে শুরু করে। তবে অমিতের সঙ্গে থাকা নিয়ে চাপা টেনশন থাকলেও  বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত সরস্বতী। 

সম্প্রতি মুজাফফরনগরের বাড়িতে আসে সরস্বতী। সেখান থেকে গত ২৬ মে সে অমিতকে ফোন করে। জানায়, এটাই তার পরিবারকে বোঝানোর শেষ চেষ্টা। পুলিসের দাবি সরস্বতীকে সম্ভবত খুন করা হয় ২৯ কিংবা ৩০ মে। তার বাবা রাজবীর সিং(৫৫) ও ভাই সুমিত সিং(২৪) শ্বাসরোধ করে খুন করে সরস্বতীকে। তারপর তার দেহ বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্য়ে নিয়ে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।

ঘটনার ২ দিন পর পুলিসকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য  এক ছক কষে সরস্বতীর পরিবার। তারা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করে যে সরস্বতীকে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ৩ জুন ক্যানালের ধারে একটি পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিস। মৃতদেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে তা চিহ্নিত করা অত্যন্ত শক্ত ছিল। কিন্তু মৃতের হাতে থাকা বালা সরস্বতীর ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। তার পরেই বেরিয়ে আসে সরস্বতীর পরিচয়। 

পুলিস আধিকারিক সঞ্জয় কুমার ভার্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অপরাধের কথা স্বীকার করেছে রাজবীর সিং। গুরুদয়লাল নামে একজনকে খুঁজছে পুলিস। সেও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.