সীমান্তে উত্তেজনার আবহে সমস্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো ঘুরে দেখলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে এ বার জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সমস্ত প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পরিকাঠামোগুলিতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হবে। রবিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।

রবিবার দেশের নানা দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তা এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে একটি উচ্চস্তরের বৈঠক ডেকেছিলেন জিতেন্দ্র। ওই বৈঠকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে সারা দেশের প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক স্থাপনাগুলির নিরাপত্তাপ্রস্তুতি পর্যালোচনা করা যায়। এর পরেই তিনি জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত সমস্ত বিজ্ঞান ও প্রুযুক্তিগত পরিকাঠামোয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষত নিরাপত্তা বাড়বে জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, লাদাখ এবং ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে। এ ছাড়াও, শ্রীনগর এবং লেহতে অবস্থিত আবহাওয়া দফতরের কেন্দ্রগুলিতেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে জম্মুর কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন (সিএসআইআর-আইআইআইএম), চণ্ডীগড়ের সেন্ট্রাল সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্টস অর্গানাইজেশন (সিএসআইও), জলন্ধরের সেন্ট্রাল লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএলআরআই), মোহালির ডিবিটি-বায়োটেক রিসার্চ ইনোভেশন কাউন্সিল (বিআরআইসি), জাতীয় কৃষি-খাদ্য ও জৈব-উৎপাদন ইনস্টিটিউট (এনএবিআই) এবং লাদাখ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থিত আর্থ সায়েন্সেস রিসার্চ স্টেশনগুলির নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করেছেন জিতেন্দ্র।

জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘এই প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিকাঠামোর মূল স্তম্ভ। বিশেষ করে আবহাওয়া পূর্বাভাস, দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং গবেষণামূলক কাজের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তাই ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ এ বিষয়ে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার নির্দেশও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ওই প্রতিষ্ঠানগুলির যে সব পড়ুয়া, গবেষক এবং কর্মী আপাতত নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে যেতে চাইছেন, তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে জন্য আসন্ন সমস্ত পরীক্ষা এবং গবেষণামূলক কাজ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.