শীতের বরফ পড়ার আগে রুশ ফৌজের হাত থেকে অধিকৃত অঞ্চল ছিনিয়ে নিতে নতুন করে অভিযানে নামল ইউক্রেন সেনা। রাজধানী কিভে ধারাবাহিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হানার মধ্যেই গত সপ্তাহ থেকে ডনেৎস্কে প্রত্যাঘাত শুরু করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনী।
গত কয়েক দিনের লড়াইয়ে ৬২ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল রুশ দখল থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের ১২৯৫তম দিনে ইউক্রেন সেনা জানিয়েছে। গত চার মাসক ধরে ধারাবাহিক ভাবে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসের (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) বিভিন্ন এলাকার দখল নিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কি জানিয়েছেন, ডনেৎস্কের একাধিক এলাকায় রুশ প্রত্যাঘাতের মুখে পিছু হটেছে রুশ ফৌজ।
ইউক্রেন ভূখণ্ডের অংশ হলেও ডনবাসের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দাই জাতিগত ভাবে রুশ। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ঠিক আগেই রুশ জনগোষ্ঠী-গরিষ্ঠ ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পুতিন। তার পরে পুতিনের বাহিনী দখল করা অঞ্চলে গণভোটেরও আয়োজন করেছিল। ডনবাসের পাশাপাশি জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট করিয়ে সেগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির ঘোষণা করেছিল পুতিনের সরকার। মস্কোর দাবি, ইউক্রনের ১৫ শতাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ওই চারটি অঞ্চলেরই ৮০ শতাংশের বেশি অধিবাসী রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। এর আগে জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনের বেশ কিছু অধিকৃত অঞ্চল ছিনিয়ে নিয়েছিল জ়েলেনস্কির সেনা। এ বার কি ডনেৎস্কের পালা?