তুরস্কের ইস্তানবুলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলাকালীন আকাশযুদ্ধে ধাক্কা খেল ইউক্রেন ফৌজ। তাদের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান শুক্রবার ধ্বংস হয়েছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছে। ইউক্রেন বায়ুসেনার তরফে এফ-১৬ ধ্বংসের কথা জানিয়ে বলে হয়েছে, ‘‘পাইলট নিরাপদেই বিধ্বস্ত বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে.’’
তবে রুশ সেনার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে যুদ্ধবিমানটি ধ্বংস হয়েছি কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সেনা। জানানো হয়নি, ‘যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থান’ও। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রুশ হানাদারদের প্রতিরোধের সময় যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়েছে। গত তিন বছরের যুদ্ধে এ নিয়ে তিনটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারাল ইউক্রেন। মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি আমেরিকার দেওয়া না কি, নেটো গোষ্ঠীভুক্ত ইউরোপের কোনও দেশ থেকে কিভ পেয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের গোড়ায় নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্ক ঘোষণা করেছিল, তারা কিভকে এফ-১৬ দেবে। এর পরে মে মাসে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দফতর রুশ হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করারও ঘোষণা করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের তরফে।
২০২৪ সালের অগস্টে প্রথম নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কের থেকে এফ-১৬ পেয়েছিল কিভ। পরবর্তী সময় নরওয়ে এবং বেলজিয়ামও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে সাহায্যের বার্তা দিয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া মুলতুবি রেখেছেন। এই আবহে ব্রিটেন এবং রোমানিয়ার মতো নেটো জোটভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনের এফ-১৬ পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রসঙ্গত শুক্রবার, ইউক্রেনে রুশ হামলার ১১৭৭তম দিনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে প্রথমবার দু’তরফের মুখোমুখি আলোচনা শুরু হয়েছে ইস্তানবুলে।