ইউক্রেনের রাজধানী কিভ সংলগ্ন অঞ্চলে হত্যা করা হল রুশ গুপ্তচরদের। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। রুশ গুপ্তচরেরাই তাঁকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ কিভের। রবিবার সকালে কিভের কাছে এক বিশেষ অভিযানে নিহত হন বেশ কয়েক জন রুশ গুপ্তচর। তবে কত জন রুশ গুপ্তচর নিহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কর্নেল ইভাল ভরোনিচ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর হত্যার নেপথ্যে রুশ গুপ্তচর সংস্থা ‘ফেডেরাল সিকিউরিটি সার্ভিস’-এর (এফএসবি) চরেরা জড়িত বলে সন্দেহ কিভের। এর পরেই রবিবার ‘টেলিগ্রাম’-এ বিবৃতি দেয় ইউক্রেনের গুপ্তচর সংস্থা। সেখানে জানানো হয়, রবিবার সকালে এক অভিযানের সময়ে রুশ গুপ্তচর সংস্থার সদস্যেরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই কারণে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। নিহতেরা প্রত্যেকেই গত বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত ছিল বলে সন্দেহ কিভের।
এর আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, তারা সন্দেহ করছে ভরোনিচের হত্যায় দু’জন— এক পুরুষ এবং এক মহিলা জড়িত ছিলেন। তবে রবিবারের হামলায় কত জন রুশ গুপ্তচরকে হত্যা করা হয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি ইউক্রেন। কোথায় অভিযান চলেছে, সেই তথ্যও সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ নেই। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী কিভের কাছাকাছি একটি জায়গায় রবিবার ওই অভিযানটি চলেছে। রবিবারের এই হামলার বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের তরফেও কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক কর্তার মৃত্যুর পর থেকে রুশ গুপ্তচর সংস্থার ‘এজেন্ট’রা আত্মগোপন করে ছিলেন।
প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। এই সময়ের মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসের (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে মস্কো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে আরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে আমেরিকা।