ব্রিটেনে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি এক পাক গ্য়াংয়ের অপরাধের ঘটনা প্রবল শোরগোল তুলেছিল ব্রিটেনে। কিন্তু ভোটের রাজনীতির জন্য তা হিমঘরে চলে যায়।
ব্রিটেনের কারগারগুলিতে এখন বহু বিদেশি নাগরিকের ভিড়। এদের মধ্যে ভারতীয় এবং পাকিস্তানিরাও রয়েছে। এখন ব্রিটিশ সরকার কয়েকটি দেশের একটি লিস্ট তৈরি করেছে যে কোন দেশের নাগরিকরা দোষী সাব্যস্ত হলে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেই তালিকায় ভারতকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে ব্রিটেন। এর ফলে ওই লিস্টে থাকা দেশের নাগরিকরা যদি কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হন তাহলে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওইসব অভিযুক্তরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়তে পারবেন না। বরং শুনানি শুরু হলে তারা ব্রিটেনের বাইরে থেকে আপিল করতে পারবেন। অন্য অনেক দেশকে ওই তালিকায় ঢোকার জন্য অনুরোধ করেছে ব্রিটেন।
ডিপোর্ট নাউ অ্যাপিল লেটার আইন
এই আইন কী?
২০০২ সালে এই আইন আনা হয়। বিদেশি নাগরিকরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের নিয়ে কী করা হবে তার জন্যই এই আইন আনা হয়। ২০১৪ সালের একটি আইনে বদল এনে নতুন এই আইন আনা হয়। পুরনো আইনে কোনও বিদেশি দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি ব্রিটেনে থেকেই আইনি লড়াই লড়তে পারতেন। কিন্তু নতুন আইনে একবার কোনও অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার পর দেশের বাইরে থেকেই তিনি আইন আইনি লড়াই লড়তে পারবেন। কিন্তু জঙ্গি, খুনি বা যারা যাবজ্জীবন সাজা কাটছেন তাদের সাজা ব্রিটেনেই কাটাতে হবে।
এক সময় ব্রিটেনের ওই আইনে দেশে ফেরত পাঠানোর তালিকায় ছিল ৮ দেশে। পরে আরও ১৫ দেশকে ওই তালিকায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ভারতও। লক্ষ্যনীয় ভাবে ওই তালিকায় নেই পাকিস্তান। তালিকায় যেসব দেশ রয়েছে তারা হল ফিনল্যান্ড, নাইজেরিয়া, এস্তোনিয়া, আলবেনিয়া, বেলিজ, মরিশাস, তানজানিয়া, কসোভো, অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রেলিয়া, বতসোয়ানা, ব্রুনেই, বুলগেরিয়া, কানাডা, গায়ানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাটভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, জাম্বিয়া।
ব্রিটেনের ন্যায় সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদ বলেন, সরকারের বার্তা একদম স্পষ্ট। যে কেউ ব্রিটেনের নিয়ম ভাঙলে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ২০২৫ সালের প্রথম ৪ মাসে ব্রিটেন ১৯০৩ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। গত বছর মোট ৬০৬৯ জনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠায় ব্রিটেন।