ডেবরায় ছাত্রীকে নির্যাতনে দুই যুবকের ফাঁসি ও এক মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

 দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুই যুবকের ফাঁসি ও এক মহিলার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলো মেদিনীপুর আদালত।

দিনটা ছিল ২০২১ সালের ৩ মে। এই দিনেই বাড়ির ছোট মেয়ের বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করেছিল পরিবার। সোনামণিকে সেই অবস্থায় দেখেই জ্ঞান হারায় মা। ধর্ষণ করে খুন করা হয় বাড়ির ছোট মেয়ে ডেবরা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে। সেই মামলায় আজ অভিযুক্ত দুই যুবকের ফাঁসি ও এক মহিলার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলো মেদিনীপুর আদালত।

উল্লেক্ষ্য, ২০২১ সালের ২ মে বাড়িতেই ছিল ওই কলেজ ছাত্রী। বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল এক মহিলা কর্মচারী সহ দুই মিস্ত্রী। মায়ের শরীর ভালো না থাকায় দুপুরের খাবারের পর থালা-বাসন ধুতে বাথরুমে গিয়েছিল ছাত্রীটি। কাজ শেষ করে অনলাইন ক্লাস করার কথা ছিল তার। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে মা- বাবা মেয়ের মোবাইল পড়ে রয়েছে দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে মেলে কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ। উলঙ্গ এবং গলায় জামার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়েছিল দেহটি।

ধর্ষণ করে খুন করা হয় ছাত্রীকে, এমনই অভিযোগে ওই সময় বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা ছোটু মন্ডল নামে বছর ৩৫- এর এক যুবক, বিকাশ মুরমু নামে বছর ২৫- এর এক যুবক এবং তপতী পাত্র নামে বছর ৪৭- এর এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত ২৯/৬/২০২১ তারিখে ওই মামলায় চার্জশিট দেয় আদালত।

সেই মামলারই রায় ঘোষণা হলো আজ। ঘটনায় যুক্ত দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড এবং এক মহিলার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে মেদিনীপুর আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.