বুধবার ভারত যখন এশিয়া কাপ খেলতে নামবে তখন শ্রেয়স আয়ার ব্যস্ত থাকবেন লাল বলের প্রস্তুতিতে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক তিনি। এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাননি। প্রস্তুতির মাঝেই শ্রেয়স জানিয়েছেন, দু’বছর আগেই তাঁর ভাবনায় এসেছিল ক্রিকেটজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। একটি পা অসাড় হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
ভারতের এক দিনের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হওয়ার পরেই চোট পান শ্রেয়স। সায়াটিকা স্নায়ুতে সমস্যা হয়েছিল, যার জেরে ডান পা পুরোপুরি অসাড় হয়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছিল। প্রতিটি দিন কাটত যন্ত্রণায়। শ্রেয়স ভেবেছিলেন আর কোনও দিন ক্রিকেট খেলা হবে না।
‘জিকিউ ইন্ডিয়া’কে সাক্ষাৎকারে শ্রেয়স বলেছেন, “আমি যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি তা কেউ বুঝবে না। আমার একটা পা পুরোপুরি অসাড় হয়ে গিয়েছিল। মেরুদন্ডে চোট পেলে পিছনে রড বসিয়ে কোনও ভাবে সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু আমার স্নায়ু ছিড়ে গিয়েছিল, যেটা আরও ভয়ঙ্কর। অসহ্য যন্ত্রণা হতো। পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ফেলতে পারতাম না। ভয়ানক অবস্থা হয়েছিল তখন।”
শ্রেয়সের সংযোজন, “লোকে ভাবে ক্রীড়াবিদেরা রোবটের মতো। তাদের প্রত্যেক ম্যাচেই খেলতে হবে। কিন্তু পিছনে কী চলছে সেটার কথা কেউ ভাবে না।” সেই ব্যথার পর ইংল্যান্ডে গিয়ে অস্ত্রোপচার করান শ্রেয়স। বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ পড়লেও ফিরে এসেছেন।
এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়া নিয়েও মুখ খুলেছেন শ্রেয়স। বলেছেন, “যা কিছু আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। নিজের দক্ষতা এবং শক্তিতে শান দিতে পারি। সুযোগ এলে আমি দু’হাত বাড়িয়ে তা লুফে নেব।”
অধিনায়ক হিসাবেও তিনি যে বাকিদের টেক্কা দিতে পারেন সেটাও বলেছেন শ্রেয়স। তাঁর কথায়, “অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার হিসাবে আমি দলকে অনেক কিছু দিতে পারি। যদি সম্মান পাই তা হলে যে কোনও কিছু অর্জন করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখি।”