কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আরও দুই গ্রেফতার, হায়দরাবাদ থেকে ধরে আনল পুলিশ

মালদহের কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী হাসান শেখকে খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এবং তেলঙ্গানা পুলিশের সহায়তায় হায়দরাবাদ থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এই নিয়ে মালদহের খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ।

শনিবার কালিয়াচক থানার তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম আব্দুল আলিম এবং জাবিউল মোমিন। হাসানের মাথায় ইটের বাড়ি মারতে দেখা গিয়েছিল এই আব্দুলকেই। গত ১০ দিন ধরে তাঁর খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায় হায়দরাবাদে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হায়দরাবাদে হানা দেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকেই। তাঁদের রাজ্যে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।

গত ১৪ জানুয়ারি কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে গুলি চলে বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বকুল শেখ গুলিবিদ্ধ হন। সেখানেই তৃণমূল কর্মী হাসানকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ অবশ্য জানায়, ঘটনাস্থলে কোনও গুলিই চলেনি। সেই ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর আমির হামজা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত জ়াকির শেখকে। তিনিও তৃণমূলেরই কর্মী। জ়াকির এবং তাঁর দলবলই বকুলের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

জ়াকিরকে গ্রেফতার করার পরে কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছিল, আরও কয়েক জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের খোঁজ চলছে। কিছু দিন আগে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ রেয়াউল হককে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আব্দুলদের খোঁজ মিলেছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। তাঁরা প্রত্যেকেই জ়াকিরের ঘনিষ্ঠ।

মালদহের ইংরেজবাজারে কিছু দিন আগেই খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে দুলালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার ১২ দিনের মাথায় কালিয়াচকে খুন হন তৃণমূলের আর এক কর্মী। দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলেই এই খুনোখুনি বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.