বাংলার ক্রিকেটে বিতর্ক থামার কোনও নাম নেই। সিএবি-র প্রথম ডিভিশনের ফাইনালে সোমবার একপ্রস্থ ঝামেলার পর মঙ্গলবার তৃতীয় দিন নতুন বিতর্ক। ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুরের ম্যাচে মঙ্গলবার খেলা শুরু হওয়ার পর প্রথম এক ঘণ্টায় মাত্র তিন ওভার খেলা হল।
ভবানীপুরের অভিযোগ, ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করছেন ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেটারেরা। মাঠে শুয়ে পড়ছেন তাঁরা। ইচ্ছা করে দূরে দূরে থ্রো করছেন, যাতে সময় নষ্ট হয়। এই ঘটনায় মুখ পুড়ছে বাংলার ক্রিকেটেরই। প্রশাসকেরা সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না বলে অভিযোগ ময়দানের একাংশের। অনেকেই মনে করছেন সেপ্টেম্বরে সিএবি-র নির্বাচন থাকায় কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না প্রশাসকেরা।
রবিবার শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ফাইনাল। পাঁচ দিনের ম্যাচের প্রথম দিন ব্যাট করে ভবানীপুর করে ৩ উইকেটে ২৫৭ রান। শাকির হাবিব গান্ধী ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই বিতর্ক শুরু হয়। ইস্টবেঙ্গলের পেসার কণিষ্ক শেঠের বল শাকিরের ব্যাটে লেগে স্লিপে যায়। ক্যাচ ধরেন সন্দীপন দাস। সেই ক্যাচ নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়।
ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ, প্রথমে আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। শাকির মাঠ থেকে বেরিয়েও যান। কিন্তু পরে স্কোয়্যার লেগের আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত বদলান আম্পায়ার। তাঁদের মতে, ক্যাচ ঠিক ভাবে ধরা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পরেই দল তুলে নেওয়ার কথা বলে ইস্টবেঙ্গল। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় দু’দলের সঙ্গে কথা বলেও সমাধান করতে পারেননি।
আসরে নামতে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি দু’দলের সঙ্গে কথা বলেন। পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভবানীপুরের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৩৯২। শাকির ১৭৫ ও বিবেক সিংহ ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।