রাশিয়ায় যাচ্ছেন ট্রাম্পের দূত! বৈঠকে বসতে পারেন পুতিনের সঙ্গে, নয়াদিল্লির কাছেও কেন গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই সফর?

রাশিয়া এবং আমেরিকার মাঝে কূটনৈতিক উত্তেজনার আবহেই মস্কোয় যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আগামী বুধবার রাশিয়ায় যেতে পারেন তিনি। ক্রেমলিন সূত্রে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্পের দূত।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়ার উপর চাপ বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যের বার্তাও দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সংঘর্ষ থামাতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত রাশিয়াকে সময় দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধ না থামালে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা দেশগুলির উপরেও কোপ বসাতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে যারা তেল কেনে, সেই দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে আমেরিকা। ঘটনাচক্রে, বর্তমানে রাশিয়ার রফতানি করা তেলের বেশির ভাগই কেনে চিন এবং ভারত।

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক যে আমেরিকার পছন্দ নয়, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সময়েই মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। রাশিয়া থেকে শুধু তেল কেনাই নয়, অস্ত্র কেনা নিয়েও ভারতের উপর অসন্তুষ্ট তিনি। এ সবের জন্য ভারতের উপর একটি জরিমানা (পেনাল্টি) চাপানোর কথাও বলেছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি ট্রাম্প।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কী অবস্থায় থাকবে, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ট্রাম্পের চোখরাঙানির পরেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে ভারত। শনিবার নয়াদিল্লির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় চলতি সপ্তাহে আমেরিকার কূটনীতিক উইটকফের রাশিয়া সফরে ঘটনা পরম্পরা কোন দিকে এগোয়, তা ভারতের জন্যও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, আগামী বুধবার রাশিয়ায় যেতে পারেন উইটকফ। ক্রেমলিন সূত্রে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উইটকফের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক কোনও দিশা মিলবে বলে আশা করছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের ওই সূত্র জানিয়েছে, উইটকফের সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া কোনও পারমাণবিক উত্তেজনা চায় না বলেও দাবি ওই সূত্রের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.