অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে সরাচ্ছেন ট্রাম্প, ফুঁসে উঠেও পিছু হটতে হল ব্রাজ়িলের প্রতিবেশীকে

বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় অভিবাসনকারী নাগরিকদের সরাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে যেখান থেকে এসেছিলেন, তাঁদের সেখানে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশে এই ধরনের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্রাজ়িলেও ফিরেছেন আমেরিকায় প্রবাসী অনেকে। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছিল ব্রাজ়িলের প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়া। তারা সরাসরি অভিবাসনকারীদের ফেরত নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও তাতে বিশেষ লাভ হল না। ট্রাম্পের চালে পিছু হটতে বাধ্য হলেন কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। নাগরিকদের দেশে ফেরানোর জন্য তাঁর সরকারকে আলাদা বিমানের বন্দোবস্ত করতে হয়েছে।

গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে তাঁর একাধিক সিদ্ধান্ত চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি অনেকেই ভাল চোখে দেখছেন না। অভিযোগ, অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। আচমকা আমেরিকা ছাড়তে বলায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন। তড়িঘড়ি দেশে ফেরার প্রক্রিয়ায় অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল কলম্বিয়া সরকার। আমেরিকা থেকে কলম্বিয়ানদের দেশে ফেরানোর জন্য দু’টি সামরিক বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেগুলি আটকে দেন পেত্রো। অভিবাসনকারীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার এবং তাঁদের জন্য আরও ভাল ব্যবস্থাপনার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি।

পেত্রোর বক্তব্য জানার পর ট্রাম্প কলম্বিয়ার উপর ২৫ শতাংশ কর প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। কলম্বিয়ান নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান। সেই ঘোষণার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন পেত্রো। রবিবার (স্থানীয় সময়) তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে অভিবাসনকারীদের ফেরাতে কলম্বিয়া সরকার আলাদা বিমানের ব্যবস্থা করেছে। এই পর্যায়ে অভিবাসনকারীদের সঙ্গে যাতে দুর্ব্যবহার না করা হয়, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। পেত্রো সমাজমাধ্যমে আরও জানান, আমেরিকার পণ্যের উপর কলম্বিয়ায় আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করছেন তিনি। এ বিষয়ে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রীকে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.