তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের জন বিন্যাস বদলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। তার জন্য উগ্রপন্থী সংগঠনগুলিকে পরোক্ষে সাহায্য করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের পানিটাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে নেপাল থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দুই পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি। সেই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই সুকান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, সব থেকে উদ্বেগের কথা যেভাবে কিছুদিন আগে এনআইএ বনগাঁ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের ঢোকানো হচ্ছে বলে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলে দিতে একটা চক্রান্ত চলছে। তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা পরিচালিত প্রশাসন এইসব উগ্রপন্থী সংগঠনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে দিতে সাহায্য করেছে।
বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের পানিটাঙ্কি দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন শায়েস্তা হানিফি নামে এক ৬২ বছরের মহিলা। তার সঙ্গে ছিল তার ১১ বছরের নাবালক ছেলে। কোনো রকম ভিসা ছাড়াই নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই মহিলা আর তার নাবালক ছেলে। অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ধৃত মহিলার সাথে
আইএসআই- এর কোনো যোগ রয়েছে কিনা, বা সে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, তার বোন উত্তর ২৪ পরগনায় থাকে, তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তার নাবালক ছেলেকে দার্জিলিং জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আপাতত ওই মহিলাকে গোয়েন্দা বিভাগ মিলিটারি ইন্টালিজেন্স ও এসএসবি আধিকারিকরা জেরা করছেন। অদ্ভুত বিষয়, পাকিস্তানি ওই মহিলা ঝড়ঝড়ে বাংলায় কথা বলতে পারেন। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, ওই মহিলা বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। তার আসল নাম ছিল গৌরী দে। তার আদি বাড়ি ছিল অসমে। পরে তারা উত্তর ২৪ পরগণায় চলে এসেছিলেন। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরিবারের অমতে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। এরপর আবার স্বামীর কাজের সূত্রে সৌদি আরবেও ছিলেন। সৌদি আরবের জেড্ডা বিমানবন্দর থেকে প্রতিবেশী দেশ নেপালের কাঠমান্ডুর টিকিট কেটেছিলেন তিনি। জেড্ডা থেকে মুম্বাই হয়ে কাঠমান্ডু পৌঁছান আবার সেখান থেকে তার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি পানিটাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন।