“তৃণমূল শুধু পাথর, কয়লা, বালি নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট পেপারও খেয়েছে,” কটাক্ষ শুভেন্দুর

 তৃণমূল কংগ্রেস পাথর, কয়লা, বালি খেয়ে ফেলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবারে ব্যালট পেপারও খেয়েছে। ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুল ফুটবল ময়দানে আজ এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে ৪০০-র বেশি আসন নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্রতিটি বুথ থেকে মাটি নিয়ে দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। আগামী তিন মাসে আমরা ১০০০টি জনসভা করবো। মোদিজীর সুশাসন এবং জনকল্যাণের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরব। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের চোরদের কোম্পানির অপশাসন কুশাসন সম্বন্ধে মানুষকে বলাই আমাদের লক্ষ্য।

ধুপগুড়ি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিপিএম ১৩ হাজার ভোট কেটে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে সিপিএম চুরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই সিপিএমের থেকে সাবধানে থাকবেন।
শুভেন্দুর অভিযোগ, ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে চাকরি, আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা সব মিলিয়ে ১৮ হাজার ফর্ম তৃণমূল বিলি করেছিল।

এদিন নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উল্লেখ করেন তিনি। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো, উজ্জ্বলা গ্যাস, কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি, ১০ কোটি আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন উন্নয়নের উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের কর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখছেন না। তাই আইপ্যাক তৈরি করে মিথ্যা কথা বলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। বিরোধীদের জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কিছু তোষণবাদী এক জায়গায় জড়ো হয়েছে। রাজ্য সরকারের ছয় লক্ষ কোটি টাকা ঋণ। এখানের হাজার হাজার ছেলেরা বাইরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছেন, কারণ রাজ্যে কাজ নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাকেশ রোশন কোনো দিন চাঁদে যাননি। এই কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইতিহাস বদলাতে পারবেন না। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্রকল্প চালু করবেন বলে তিনি জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, ঘাটাল মহকুমার দাসপুর সহ বিভিন্ন এলাকার বহু যুবক বাইরে সোনার কাজ করেন তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

ঘাটালে রেলপথ চালু হবার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জমি দিতে বলেছেন যাতে রেললাইন পাতা শুরু হয়। মেদিনীপুরের মাটি থেকে সংকল্প করতে হবে কুশাসনকে উচ্ছেদ করার। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে আসল ভোট হয়নি।

এদিন জনসভায় খড়্গপুরের বিধায়ক এবং অভিনেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় তথা হিরণ বলেন, বিরোধীরা ফাইভস্টার হোটেলে মিটিং করছে যেখানে এক কাপ চায়ের দাম সাড়ে পাঁচশো টাকা। ২৮টা দল একসাথে হয়েছে। ৬৪ জন নেতা নেত্রী আছে যারা একটাও গোল দিতে পারবে না। হিরণ বলেন, ২৪ -এ ক্ষমতায় আসার পর ঘাটালে রেলস্টেশন এবং মাস্টারপ্ল্যান হবে।

এদিনের জনসভায় ঘাটাল বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক শীতল কপাট দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের জনসভায় ৪৬ জন বিজেপিতে যোগ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.