‘ওয়েটিং লিস্ট’ (অপেক্ষমাণ তালিকা) আর লম্বা হবে না। বেঁধে দেওয়া হল সংখ্যা!
দূরপাল্লা বা মাঝারি দূরত্ব ভ্রমণের জন্য আগে থেকেই টিকিট কাটেন যাত্রীরা। দু’মাস আগে থেকেই সংরক্ষিত টিকিট কাটার সুযোগ পাওয়া যায়। অনেক ট্রেনের ক্ষেত্রে বুকিং শুরুর কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই টিকিট ফুরিয়ে যায়। লম্বা হতে থাকে ‘ওয়েটিং লিস্ট’। কিন্তু এখন আর যত ইচ্ছা টিকিট কাটা যাবে না। নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল ‘ওয়েটিং লিস্টে’ টিকিট কাটার সংখ্যা।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ট্রেনের যে কোন শ্রেণির (স্লিপার বা এসি) কামরায় আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট অপেক্ষমাণ তালিকায় কাটা যাবে। অর্থাৎ, কোনও শ্রেণিতে যত আসন রয়েছে, তার ২৫ শতাংশ টিকিট ‘ওয়েটিং লিস্টে’ কাটতে পারবেন যাত্রীরা। তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রেল।
কেন এই নিয়ম চালু হচ্ছে? রেলের বক্তব্য, ট্রেনের টিকিটের দালাল চক্র রুখতে তৎপর তারা। অনেকে ‘এজেন্ট’ই যাত্রীদের থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে ‘ওয়েটিং লিস্টে’ টিকিট কেটে দেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, টিকিট নিশ্চিত (কনফার্মড) হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেও চলে। সেই চক্রের মোকাবিলা করতেই ‘ওয়েটিং লিস্ট’ সীমিত করা হচ্ছে। অতীতে ‘ওয়েটিং লিস্টে’ টিকিট কাটার কোনও বাধাধরা সংখ্যা ছিল না। জ়োন ভিত্তিক সেই সংখ্যা নির্ধারিত হত। কোথায় ৩০০, কোথাও আবার ৪০০ পর্যন্তও ‘ওয়েটিং লিস্টে’ টিকিট কাটা যেত। তবে এ বার আর তা সম্ভব নয়।
জালিয়াতি রুখতে আরও কিছু পদক্ষেপ করেছে রেল। বিশেষত তৎকাল টিকিট কাটার নিয়মে বদল আসছে। রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট হোক বা অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট কাটতে হলে যাত্রীদের আধার কার্ড ব্যবহার করতেই হবে। আগামী পয়লা জুলাই থেকে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। অর্থাৎ, আইআরসিটিসি-তে যাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ইউজ়ার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ করাতে হবে তাঁদের। ইউজ়ার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ করা থাকলে তবেই যাত্রীরা তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন। শুধু অনলাইনের ক্ষেত্রে নয়, কাউন্টারে গিয়ে যাঁরা তৎকাল টিকিট কাটেন, তাঁদেরকেও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক।