দক্ষিণ পূর্ব রেলে হাওড়া ডিভিশনে ট্রেন দেরিতে চলার অভিযোগ যাত্রীদের। বহু দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন ঠিক সময়ে চলে না। এই সমস্যা মেটাতে শালিমার স্টেশনকে আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। হাওড়া স্টেশনের ওপর চাপ কমবে, জানালেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।
হাওড়া স্টেশনের বিকল্প স্টেশন হিসেবে শালিমার স্টেশনকে গড়ে তোলা হচ্ছে।কারন হাওড়া স্টেশনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে।যাত্রীদের অভিযোগ নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলে না।লোকাল ট্রেনের নিত্য যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। ঠিক সময়ে অফিস কিংবা স্কুলে পৌঁছানো যায় না। দূরপাল্লার বহু ট্রেন ঠিক সময়ে ছাড়ে না।নিত্য দিনের এই সমস্যা বলে জানান যাত্রীরা।
রেলের লাইন সম্প্রসারণের করা হলেও সমস্যা মেটেনি।দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে।ট্রেন সাফাই ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য হাওড়া থেকে সাতরাগাছি নিয়ে যেতে হয়।সেক্ষত্রে সমস্যা হচ্ছে।শালিমারে আধুনিক মানের কোচিং ডিপো তৈরি হচ্ছে।যার পাইলিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র বলেন শালিমার স্টেশন থেকে বেশী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এখানে কোচিং ডিপো করা হচ্ছে। বন্দে ভারত,অমৃত ভারত ও অন্যান্য দূরপাল্লার ট্রেন এর রক্ষণাবেক্ষণ শালিমার থেকে হবে।ফলে হাওড়ার চাপ কমবে।ঠিক সময়ে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। আগামীদিনে শালিমার স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ কোচিং ডিপো হবে। জেনারেল ম্যানেজার আরো বলেন এর জন্য খরচ হবে ২০৩ কোটি টাকা। আগামী এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। এই প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কার্যত তার দিকেই তাকিয়ে আছেন যাত্রীরা।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের শত বর্ষ উপলক্ষ্যে রাজধানী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনকে নতুন ভাবে সাজানো হয়। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন হাওড়া ডিভিশনের শতবর্ষের বার্তা ট্রেনটি যেখানে যেখানে যাবে তা ছড়িয়ে দিতে এই নতুন উদ্যোগ। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষ একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরমধ্যে হাওড়া নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস এর লোকো ইঞ্জিনকে নতুনভাবে সাজানো হয়।
ইঞ্জিনের চারপাশে হাওড়া ডিভিশনের শতবর্ষের ইতিহাস ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ি, রেল মিউজিয়ামে রাখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত সেলুন কোচ এবং পুরানো সিগন্যাল সিস্টেমের ছবি আঁকা হয়। এদিন ডিআরএম বলেন যাত্রীদের সুবিধার জন্য রাজধানী এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন রেলের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার উন্নতি করা হচ্ছে। এই কাজ চলতেই থাকবে। বর্তমানে ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে হাওড়া স্টেশন সহ বিভিন্ন স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে সিসিটিভির নজরদারি ছাড়াও আরপিএফ, জিআরপি এবং স্থানীয় থানা সতর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমে যেকোনো যাত্রী খবর দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।