আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ কি এ বার থামবে? সুইৎজ়ারল্যান্ডে প্রথম দিন বৈঠকের পর অনেকের মনেই সেই প্রশ্ন ঘুরছে। আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, বৈঠক খুবই ভাল হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে ঐক্যমতও হয়েছে আমেরিকা এবং চিন!
ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির জেরে বিপাকে পড়ে আমেরিকার বাজারই। বিশেষত, চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সেই আবহেই সমাধান সূত্র খুঁজতে শনিবার থেকে সুইৎজ়ারল্যান্ডে বৈঠকে বসেন দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। শনিবারের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। খোলসা করেননি ট্রাম্পও। তবে তিনি বলেন, ‘‘দুর্দান্ত অগ্রগতি হয়েছে। আমেরিকা এবং চিন, উভয়ের মঙ্গলের জন্যই মার্কিন ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত চিনা বাজার দেখতে চাই।’’ ট্রাম্প মনে করেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পথ আরও মসৃণ হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করতে থাকে। বাড়তে থাকে শুল্কের পরিমাণ। ট্রাম্প দফায় দফায় চিনা পণ্যের উপ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। শেষ পর্যন্ত শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় আমেরিকা-চিনের বাণিজ্য। সেই আবহেই আমেরিকার ট্রেজ়ারিসচিব স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন উচ্চপদস্থ চিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। রবিবারও বৈঠক করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।