পাকিস্তানে নিহত লশকর-এ-ত্যায়বার অন্যতম শীর্ষ নেতা রাজ়াউল্লাহ নিজ়ামনি ওরফে আবু সইফুল্লা ওরফে সইফুল্লা খালিদ। রবিবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই জঙ্গিনেতার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের মাটলি ফালকারা চকের কাছে একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছে তাকে। পাকিস্তানের সরকারের তরফে নিরাপত্তা দেওয়া হত লশকরের ওই শীর্ষ নেতাকে। রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরে একটি রাস্তার মোড়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর।
ভারতে একাধিক জঙ্গি নাশকতার মূলচক্রী হিসাবে এই লশকর নেতার নাম উঠে এসেছে। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে আধাসেনা বাহিনীর ছাউনিতে হামলা, ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে হামলা এভং ২০০৬ সালে নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরে হামলায় অন্যতম মূলচক্রী হিসাবে সইফুল্লার নাম উঠে এসেছিল। লশকর জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা নাম ভাঁড়িয়ে ‘বিনোদ কুমার’ পরিচয়ে দীর্ঘদিন নেপালে বাস করেছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নেপালে বসেই লশকরের জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করত সইফুল্লা। সম্প্রতি, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলিতে থাকতে শুরু করে সে। লশকর ছাড়াও তাদের অন্যতম অন্যতম শাখা সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার হয়েও জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করত সইফুল্লা।

আত্মগোপন করতে ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করত লশকরের এই জঙ্গিনেতা। সইফুল্লা, বিনোদ ছাড়াও মহম্মদ সেলিম, খালিদ, বনিয়াল, ওয়াজ়িদ, সেলিম ভাই— এমন বিভিন্ন নামে পরিচিতি ছিল তার। মূলত লশকরের হয়ে অর্থ সংগ্রহ এবং নতুন জঙ্গি নিয়োগের দায়িত্ব ছিল সইফুল্লার উপর।
সম্প্রতি, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে লশকরের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ-এর নাম উঠে আসে। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে পহেলগাঁও হত্যকাণ্ডের অন্যতম চক্রী হিসাবে সইফুল্লা কাসুরি ওরফে খালিদ নামে এক জঙ্গিনেতার নাম উঠে এসেছিল। যদিও সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ওই জঙ্গিনেতাও লশকরের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার। তবে রবিবার পাকিস্তানে নিহত জঙ্গিনেতা পহেলগাঁও কাণ্ডের পর আলোচনায় উঠে আসা লশকর কমান্ডার সইফুল্লা কাসুরি নয়।