রবিবার রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা ক্রিকেট জ্বরের মধ্যেই বিভিন্ন জেলার পুজোয় ও সামাজিক কাজের জনসংযোগে নামেন। এই কারণে দিনভর ছিল তাঁদের ব্যস্ততা। দলের তরফে দেওয়া তালিকা অনুসারে একথা জানা গিয়েছে।
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন দুপুরে যান ভদ্রেশ্বরে (১ নম্বর ওয়ার্ডে) জে সি খান রোডে পুস্তক মেলা ও স্বাস্থ্য শিবিরের অনুষ্ঠানে। এরপর ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মানকুণ্ডু নতুনপাড়া বারোয়ারি ও তার পর চন্দননগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সার্কাস মাঠ বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে।
সন্ধ্যায় সুকান্তবাবু যান চন্দননগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে লালবাগান আদি হালদার পাড়ায় এবং তারপর চন্দননগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে হরিদ্রাডাঙা শীল বাগানে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে। এর মাঝে বিকেলে চন্দননগর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গোন্দল পাড়া পিপাল ঘাটে তিনি যান ছট পুজোর সমাবেশে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিকেলে প্রথমে আসানসোলের নারায়ণকুদি ফুটবল মাঠে আসানসোলের কয়লাখনিতে মৃত শ্রমিকদের স্মরণসভায় অংশ নেন। এরপর যান দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ানে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে।
সাংসদ দিলীপ ঘোষ এদিন দুপুরে যান কেশিয়ারির জয়কৃষ্ণপুরে ফুটবল প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসাবে। বিকেলে প্রথমে যান খড়্গপুরের ইন্দায়, তারপর খড়্গপুরের সাউথ সাইডে আরপিএফ ব্যারাকে ছট পুজো ঘাটে। সন্ধ্যায় যান খড়্গপুরের স্টার ইউনিট ক্লাবের কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এদিন প্রথমে যান আসানসোলের নারায়ণকুদি ফুটবল মাঠে আসানসোলের কয়লাখনিতে মৃত শ্রমিকদের স্মরণসভায় অংশ নিতে। এর পর যান রানীগঞ্জের নারায়ণকুদি মথুরা চাঁদনি মন্দিরে সন্ধ্যা আরতিতে।
দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য তথা বিধায়ক ডঃ অশোক চৌধুরী যান বালুরঘাটের বোল্লা মায়ের মন্দিরে পুজোয়। এরপর যান বালুরঘাটের আত্রেয়ী সদর ঘাটে ছট পুজোর সমাবেশ।
দলের প্রাক্তন জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বিকেলে প্রথমে বড়বাজারে কলাকার স্ট্রিটে, তারপর খিদিরপুর ডকে জুট মিল ঘাটে ছট পুজোর দুটি পৃথক সমাবেশে অংশ নেন।
এদিন সকাল সাড়ে ন’টায় বাঁকুড়ার সাংসদ ড: সুভাষ সরকার ভৈরব স্থান মন্দিরে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের জন্য পুজো দেন। ওই অনুষ্ঠানে সংসদের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানা উপস্থিত ছিলেন।