তো গূরু পূর্ণিমা উপলক্ষে সারা ভারতের অন্য প্রান্তের মতো পশ্চিমবঙ্গেও অসংখ্য গুরুর আশ্রমে/মন্দিরে গূরুপূর্ণিমা পালন হবে …. আর হাজার হাজার হিন্দু বাঙ্গালী ভক্তজন কোনও না কোনও গুরুর আশ্রমে ফলপ্রসাদ/পায়েস/খিচুড়ি গ্রহণ করবেন।
আর আঙুল চাটতে চাটতে খিলখিল করে হাসতে হাসতে ভক্তদের কেউ কেউ বলে উঠবে অমুক মহারাজা এতো ভাল পায়েস রাঁধতেন যে এখনও জিভে লেগে আছে, বা তমুক মহারাজ এত ভাল খিচুড়ি রাঁধতেন যে ভোলা যায় না !
আশ্রম আর মন্দিরগুলো যেন খিচুড়ি/পায়েস খাওয়ার জায়গা, গুরুভক্তি নেই , ধর্মরক্ষায় কোনও কাজ নেই — শুধুই দল বেঁধে খেচুড়ি খাওয়া …
তারপর যখন ম্লেচ্ছ/যবন/ধর্মদ্বেষীরা গুরুর উপর আক্রমণ করে, যখন মঠ/মন্দির/আশ্রমে আক্রমণ করে … তখন এই ফলখাওয়া, পায়েসখাওয়া, খেচুড়িখাওয়া এই ভক্তদের আর দেখা পাওয়া যায় না।
এই যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এত হাজার হাজার দীক্ষিত…. যখন পদ্ম সম্মানে সম্মানিত কার্তিক মহারাজের উপর আক্রমণ নেমে আসে …. তখন এই পায়েসখাওয়া, খেচুড়িখাওয়া ভক্তজনের ভীড় কোথায় যেন পাতলা হয়ে যায়।
যখন রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দুষ্কৃতীদের উপদ্রবে দখল হতে বসে তখন “রামকৃষ্ণ – বিবেকানন্দ” এর নামে “বাঙ্গালীর হিন্দুত্বে”র শপথ নেওয়া ভক্তজন কোথাও যেন হারিয়ে যায়।
হাজার হাজার কালীপূজা ….. শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ শিবভক্ত …. আর কালীমন্দির/শিবমন্দির যখন ভাঙা যায়, মন্দির যখন অপবিত্র হয় গোমাংসে …. তখন সবার যেন “বোবারোগ” ধরে ….
তাই সব মন্দির/আশ্রমের গুরুদেবদের কাছে প্রার্থনা …. আজ গুরুপূর্ণিমার প্রণাম নিন, ভক্তদের ফল/পায়েস/খেচুড়ি খাওয়ান, কিন্ত একবার জিজ্ঞেস করে নেবেন… মন্দির বা আশ্রমে আক্রমণ হলে, সন্ন্যাসী/গুরুর উপর আক্রমণ হলে, মন্দির অপবিত্র হলে ভক্তজন ধর্ম/আশ্রম/গুরুর রক্ষায় এগিয়ে আসবেন কি না ….
যদি উত্তর না পান,
আজ গুরুপূর্ণিমার তিথিতেই খেচুড়ি না খাইয়ে ভাঙা কুলোয় শুকনো লঙ্কার গুড়োর বাতাস দিয়ে বিদেয় করুন।
লেখক – ডা: বিশ্ব প্রতিম রুদ্র।