দল বিরোধী কথা বলায় শোকজ করা হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাকে। গত শনিবার মেমারিতে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ফারুক আবদুল্লা। প্রকাশ্যে সভায় তিনি বলেন, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় দলের কাউন্সিলর পদের টিকিট বিক্রি হয়েছে।
আর সেই কারণে তাঁকে শোকজ করা হল বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহম্মদ আসরফ উদ্দিন (বাবু)। যদিও তিনি বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। উনি মিথ্যা কথা বলেছেন। ফারুক আব্দুল্লার করা মন্তব্যের পেক্ষিতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার জবাবে সন্তুষ্ট না হলে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মহম্মদ আসরফ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, শনিবার মেমারিতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সংবর্ধনা সভা থেকে মেমারি শহর সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির ফারুক আহমেদ অভিযোগ তোলেন, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় দলের কাউন্সিলর পদের টিকিট কিনেছেন মেমারি এক কাউন্সিলর। পাশাপাশি তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের জেলবাসের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে মেমারির এক কাউন্সিলর ও এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখেন।পঞ্চায়েত ভোটের আগের তৃণমূল নেতার এমন দাবি ঘিরে তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহল।
মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস এত সভার আয়োজন করে সেই সভায় তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল ছাড়াও ফারুক আবদুল্লা-সহ বেশ কয়েকজন শাসকদলের নেতা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের সংখ্যলঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা সেই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে আগা গোড়াই নিজের দলের এক কাউন্সিলর ও এক নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি ওই কাউন্সিলরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে তুমি কাউন্সিলর হয়েছ। তোমার নেতাও ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে। এর পরেই ফারুক তাঁর দলের দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের জেলবন্দি হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওই দুই কাউন্সিলরকে উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন ,“আপনার কথা বলা সাজে না। বেশি কথা বলবেন না। নয়তো আপনার কথা আপনার বুকের মধ্যে চেপে দেব।”vফারুক আবদুল্লা যখন প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে দল বিরোধী এইসব কথা বলছেন তখন তার প্রতিবাদ না করে উল্টে মঞ্চে থাকা নেতারা হাততালি দিয়ে ফারুককে সমর্থন জানান।