তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে রয়েছে পশুর চর্বি, মাছের তেল। এনিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। চন্দ্রবাবু নাইডুর ওই অভিযোগের পর তিরুপতির লাড্ডু পাঠানো হয়েছে লেবরেটরিতে। পরিস্থিতি এমনই যে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার মথুরা ও বৃন্দাবনের মন্দিরের প্রসাদও পরীক্ষা করে দেখছে। তা বলে কি তিরুপতির লাড্ডু বিক্রি কমেছে? একদমই না।
তিরুপতি মন্দিরে রোজ আসেন ৬০,০০০ পুণ্য়ার্থী। মন্দির দর্শনের পর তাঁরা প্রসাজী লাড্ডু কেনেন। প্রসাদী লাড্ডু রাজ্যের বাইরেও যায়। তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি হিসেব মতো গত ৪ দিনে তিরুপতি মন্দির থেকে ১৪ লাখ লাড্ডু বিক্রি হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মন্দির থেকে লাড্ডু বিক্রি হয়েছে ৩.১৭ লাখ, ২০ সেপ্টেম্বর বিক্রি হয়েছে ৩.৬৭ লাখ লাড্ডু, ২১ সেপ্টেম্বর বিক্রি হয়েছে ৩.৬০ লাখ লাড্ডু এবং ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রি হয়েছে ৩.৫০ লাখ লাড্ডু বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, লাড্ডু নিয়ে কোনও বিতর্ক মানতে চান না পুণ্যার্থীরা। তাদের অনেকের বক্তব্য়, সব অতীত। লাড্ডু কেনায় তা বাধা হবে কেন? ওই লাড্ডু তৈরি করতে রোজ ১৫০০০ কেজি গোরুর ঘি ব্যবহৃত হয়। এখন ১৪ লাখ লাড্ডুর দাম যদি ২৫ টাকা করে ধরা হয় তার দাম গিয়ে দাঁড়ায় বিপুল অঙ্কের টাকায়।
অন্যদিকে, রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের দাবি, গত ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে বিলি করা হয়েছিল তিরুপতির লাড্ডু। আচার্য সত্যেন্দ্র দাস এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, জানি না কতটা লাড্ডু আনা হয়েছিল। এটা জানবে ট্রাস্টের লোকজন। কিন্তু যে লাড্ডু এসেছিলা প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয়েছিল। লাড্ডু নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা অত্যন্ত গুরুতর।
সূত্রের খবর রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য এক লাখ লাড্ডু পাঠিয়েছিল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট। ওই ট্রাস্টই তিরুপতি মন্দির পরিচালনা করে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেল ৮০০০ অতিথি। এদিকে, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্টের দাবি, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে দারচিনির বীজ প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয়েছিল। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, তিরুপতির লাড্ডু নিয়ে তদন্ত হচ্ছে । আমরা দারুচিনির বীজ বিলি করেছিলাম।