আইপিএলের প্লে-অফে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তিনটি দল। চারটি দল ইতিমধ্যেই দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। শেষ চারের আর একটি জায়গা বাকি। তার জন্য লড়াইয়ে রয়েছে তিনটি দল।
রবিবার একটি ম্যাচের পরেই প্লে-অফে একসঙ্গে পাকা হয়ে গিয়েছে তিনটি দল। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্স জিততেই তারা প্লে-অফে চলে গিয়েছে। একই সঙ্গে শেষ চারে জায়গা পাকা হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পঞ্জাব কিংসের। বাকি রয়েছে আর একটি জায়গা। তার জন্য লড়াইয়ে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। আগেই আশা শেষ হয়ে গিয়েছে গত বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের।
দিল্লিকে হারানোর পরে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট গুজরাতের। তাদের নেট রানরেট +০.৭৯৫। যা পরিস্থিতি তাতে শুধু প্লে-অফ নয়, প্রথম দুই দলের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার সবচেয়ে ভাল সুযোগ রয়েছে গুজরাতের। তাদের আরও দু’টি ম্যাচ বাকি।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ১৭। তৃতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাবের পয়েন্টও ১২ ম্যাচে ১৭। বিরাট কোহলিদের নেট রানরেট (+০.৪৮২) বেশি শ্রেয়স আয়ারদের (+০.৩৮৯) থেকে। গুজরাত-দিল্লি ম্যাচের আগে পর্যন্ত এই দুই দলের প্লে-অফ নিশ্চিত ছিল না। কিন্তু এই ম্যাচের পর তারাও প্লে-অফে উঠেছে।

অর্থাৎ, প্লে-অফের বাকি একটি জায়গার জন্য লড়াই তিন দলের। মুম্বইয়ের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ১৪। হার্দিক পাণ্ড্যদের নেট রানরেট সবচেয়ে বেশি (+১.১৫৬)। দিল্লির পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ১৩। নেট রানরেট +০.২৬০। লখনউ সুপার জায়ান্টসের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ১০। তাদের নেট রানরেট এই তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে কম (-০.৪৬৯)। এই তিন দলের মধ্যে একটি দল প্লে-অফে উঠবে।
যা পরিস্থিতি তাতে ভাল নেট রানরেটের জন্য সুযোগ সবচেয়ে বেশি মুম্বইয়ের। তাদের দু’টি ম্যাচ বাকি। আগামী বুধবার তাদের খেলতে হবে দিল্লির সঙ্গে। এই ম্যাচই কার্যত নির্ধারণ করে দেবে প্লে-অফের ভবিষ্যৎ। মুম্বইয়ের শেষ ম্যাচ ২৬ মে পঞ্জাবের সঙ্গে। দিল্লিরও দু’টি ম্যাচ বাকি। বুধবার মুম্বই ম্যাচের পর শনিবার তাদের খেলতে হবে পঞ্জাবের সঙ্গে। লখনউয়ের বাকি তিনটি ম্যাচ। সোমবার তাদের সামনে হায়দরাবাদ, বৃহস্পতিবার বিপক্ষ গুজরাত, ২৭ মে বিপক্ষ বেঙ্গালুরু।