তিন ক্রিকেটার: আইপিএল, রঞ্জির সাফল্যে কাদের সামনে খুলল জাতীয় দলের দরজা

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন পর পর অবসর নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ের দল নির্বাচনে নির্বাচকেরা গুরুত্ব দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলের পারফরম্যান্সকে।

টেস্ট দলে প্রথম বার সুযোগ পেয়েছেন সাই সুদর্শন। প্রায় দেড় বছর পর প্রত্যাবর্তন হয়েছে শার্দূল ঠাকুরের। আট বছর পর দলে সুযোগ পেয়েছেন করুণ নায়ার। তিন জন ক্রিকেটারকেই নেওয়া হয়েছে প্রথম শ্রণির ক্রিকেট বা আইপিএলে তাঁদের পারফরম্যান্স বিচার করে।

সাই সুদর্শন

তামিলনাড়ুর হয়ে গত রঞ্জি ট্রফিতে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন সুদর্শন। ৩০৪ রান করেছেন। দিল্লির বিরুদ্ধে খেলেন সর্বোচ্চ ২১৩ রানের ইনিংস। হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের আগে খেলতে পারেননি। তবে মাঠে ফিরেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ফর্মে রয়েছেন। ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ অবশ্য এসেছে আইপিএলের পারফম্যান্সের সুবাদে। বেগনি টুপির দৌড়ে সকলের আগে রয়েছেন সুদর্শন। ধারাবাহিক ভাবে রান করছেন। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচে করেছেন ৬৩৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৮। একটি শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান করেছেন। এই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসাবেই প্রথম বার সুযোগ পেয়েছেন টেস্ট দলে।

করুণ নায়ার

ভারতের হয়ে করুণ শেষ বার খেলেছিলেন ২০১৭ সালে। ছ’টি টেস্টে করেছিলেন ৩৭৪ রান। মনে রাখতে হবে এর মধ্যে একটি ম্যাচে ৩০৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন করুণ। তার পরেও ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে। টেস্টে তিনশো করার পর বাদ পড়ার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। এই মরসুমে ফর্মে রয়েছেন করুণ। রঞ্জি এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে তাঁর পারফরম্যান্স সেই প্রমাণই দিয়েছে। রঞ্জি ট্রফিতে ১৬টি ইনিংসে ৮৬৩ রান করেছেন তিনি। চারটি শতরান করেন তিনি। বিজয় হজারে ট্রফিতে পাঁচটি শতরান-সহ করেন ৭৭৯ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর তাঁকে আট বছর পর টেস্ট দলে ফেরাতে বাধ্য হয়েছেন আগরকরেরা।

শার্দূল ঠাকুর

দেড় বছর পর টেস্ট দলে ফিরেছেন শার্দূলও। রঞ্জি ট্রফিতে ভাল পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন। অজিঙ্ক রাহানের মুম্বইকে একার দক্ষতায় একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন। ৪০২ রান করেছেন ব্যাট হাতে। গড় ৪০। বল হাতে নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। হরিয়ানা বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে নেন ইনিংসে ৬ উইকেট। সেই পারফরম্যান্সের সুবাদে শেষ মুহূর্তে আইপিএলেও দল পান তিনি। দলের একাধিক বোলারের চোট থাকায় প্রতিযোগিতা শুরুর আগে তাঁকে সই করায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। তার পরই আবার ভারতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

করুণকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগরকর বলেছেন, ‘‘একটা সিদ্ধান্ত কারও জন্য ন্যায্য হলে, কারও জন্য অন্যায্য হতে পারে। এই মুহূর্তে আমরা করুণের কথাই ভেবেছি। কারণ ও প্রচুর রান করেছে। তা ছাড়া ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’ ফর্মের নিরিখে সরফরাজ় খানকে পিছনে ফেলে করুণ এগিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.