পর পর তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্য অসম, মেঘালয় এবং মণিপুরের বিভিন্ন জেলা। আজ শুক্ৰবার ভারতীয় সময় ভোররাত ২-টা ০৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে অসমের শোণিতপুর জেলার তেজপুরে রিখটার স্ক্যালে ৪.১, এর আগে ১-টা ৬ মিনিটে মণিপুরের মইরাঙে এবং ভোর ৪-টা ২০ মিনিটে মেঘালয়ের পশ্চিম খাসিপাহাড় জেলায় রিখটার স্ক্যালে ২.৬ প্রাবল্যের মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজির তথ্য অনুযায়ী, অসমে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল শোণিতপুর জেলা সদর তেজপুর থেকে ২২ কিলেমিটার দূরে পশ্চিম উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে ভূগৰ্ভের ৩৬ কিলোমিটার গভীরে ২৬.৭৩ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৪৪ দ্রাঘিমাংশে।
এছাড়া মণিপুরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মইরাঙের ৩৯ কিলোমিটার দূরে পূৰ্ব দক্ষিণ-পূৰ্বে ১০ কিলোমিটারে গভীরে। সংগঠিত ভূমিকম্প রিখটার স্ক্যালে ধরা পড়েছে ৪.১। এদিকে আজ ভোর ৪:২০ মিনিটে মেঘালয়ের পশ্চিম খাসিপাহাড় জেলায় সংগঠিত কম প্রাবল্য ২.৬ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ওই এলাকার ১০ কিলোমিটার গভীরে, জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজি।
প্ৰসঙ্গত, গত প্রায় বছরখানেকের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ক্রমাগত ভূমিকম্প হচ্ছে। অসমের শোণিতপুর জেলা এবং অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মণিপুরে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১০০ বার ভূমিকম্প হয়েছে।
উত্তরপূর্বে ঘন ঘন ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির বিজ্ঞানীরা বলছেন, সিসমিক জোন ৫-এ অবস্থিত হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায়ই ছোটখাটো কম্পন অনুভূত হয়। এতে অস্বাভাবিক এবং আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কারণ নেই। তাঁদের কথায়, ভারতীয় প্ল্যাট প্রতি বছর উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ৫ সেন্টিমিটার করে সরে। এতে ঘর্ষণ হয়। ফলে ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অরুণাচল প্রদেশের উত্তর দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশি ভূমিকম্প হয়। তেমনি মণিপুর ও মিজোরামের পূর্ব দিকে মায়ানমার অঞ্চলে ক্রমাগত ঘর্ষণে ভূমিকম্প হয়। তার প্রভাবে ওই দুই রাজ্যেও ঘন ঘন ভূকম্প অনুভূত হচ্ছে।
2021-06-18