গণকবরেও ঠাঁই নেই! মৃতদেহের স্তূপ জমছে তুরস্কে, ভূমিকম্প ফেরাল কোভিড স্মৃতি

শহরের কবরস্থানগুলি আগেই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ভূমিকম্পে মৃতদের দেহ কবরস্থ করার জন্য নতুন কবরস্থান খুলেছে প্রশাসন। সেখানে গণকবর দেওয়া হচ্ছে। তবে ফুরিয়ে এসেছে সেই ঠাঁইও।

তুরস্কের মারাশ শহরে গত কয়েক দিনের ছবিটা এমনই। শহরে ৫ লক্ষ মানুষ বাস করেন। মৃতদেহ সৎকারের জন্য কয়েকটি কবরস্থান রয়েছে। কিন্তু গত সোমবারের ভূমিকম্পের পর সেখানে আর তিল ঠাঁই নেই।

মৃতদেহের ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে শহরেই অন্য একটি স্থান মৃতদেহ সৎকারের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, সেখানেও ভিড় বাড়ছে, ফুরিয়ে আসছে ঠাঁই।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মারাশ শহরে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছে। তবে যে হারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে দ্বিগুণ পরিমাণ মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজন পড়তে পারে, আশঙ্কা প্রশাসনের।

গত সোমবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। মূল কম্পনের পর আরও অন্তত ১০০ বার আফটার শকে কেঁপেছে দুই দেশের মাটি।

তার পর থেকেই তুরস্ক, সিরিয়ার কবরস্থানে শুরু হয়েছে শববাহী গাড়ির ঘন ঘন আনাগোনা। মৃতের মিছিল যেন শেষ হতে চাইছে না কিছুতেই। ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ সরালেই একের পর এক দেহ বেরিয়ে আসছে। তুরস্ক, সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

২০২০ সালে কোভিড অতিমারির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল গোটা বিশ্বের। টানা দেড় থেকে দুই বছর ধরে ভাইরাসের বলি হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। শ্মশান, কবরস্থানগুলিতে মৃতদেহের ভিড় লেগেছিল তখনও। তুরস্কে সেই স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে দিল ভূমিকম্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.