‘স্পেশ্যাল ক্লাস আছে, বাড়ি আয়’, ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা তেহট্টে, চার দিন পর গ্রেফতার গৃহশিক্ষক

‘স্পেশ্যাল ক্লাস’-এর নাম করে বাড়িতে ডেকে ১৭ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্টে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, গৃহশিক্ষকতা করার পাশাপাশি নাচের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান তেহট্টের বেতাই এলাকার এক যুবক। এলাকার অনেক কিশোরী তাঁর কাছে নাচের প্রশিক্ষণ নিতে যায়। গত ১৬ ডিসেম্বর ১৭ বছরের এক ছাত্রীকে ‘স্পেশ্যাল ক্লাস’ করার কথা বলে বাড়িতে ডাকেন ওই গৃহশিক্ষক। সেই সময় ওই শিক্ষকের বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। অভিযোগ সেই সুযোগে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, ঘরের দরজা বন্ধ করে ওই গৃহশিক্ষক তাঁদের মেয়ের গায়ে হাত দেন। প্রতিবাদ করায় ধর্ষণের চেষ্টা করেন যুবক। বেশ কিছু ক্ষণ ধস্তাধস্তির পর কোনও রকমে গৃহশিক্ষকের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে দৌড় দেন ছাত্রীটি। অন্য দিকে, তার পর থেকে অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

১৬ ডিসেম্বর রাতেই নাবালিকার পরিবারের তরফে নাজিরপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহশিক্ষককে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.