ধারাবাহিকের শুটিংয়ের মাঝে খবর পেয়েছেন, সুনীল ছেত্রীর ঘর ওয়াপসি। আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন শ্যালক অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। অবসরের পরে ফের ভারতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে সুনীল ছেত্রীকে। নিঃসন্দেহে ভাল খবর। সুব্রত ভট্টাচার্যের বাড়িতে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির মহল। অবসরের সময় যে সমস্ত অনুরাগীরা মুষড়ে পড়েছিলেন, তাঁদের জন্য খুশির খবর। তবে আরও একটি দিক তুলে ধরলেন সাহেব।
সুনীলের ফিরে আসা প্রসঙ্গে একটি আশঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে অভিনেতার মনে। তাঁর মতে, “ভারতীয় ফুটবল দলে উপযুক্ত খেলোয়াড়ের অভাব রয়েছে তা আরও এক বার প্রমাণিত। ভারতীয় ফুটবলের পরিকাঠামো নিয়ে আবারও একটা প্রশ্ন তুলে দিল। তা হলে কি সুনীল ছেত্রীর পরে আর কোনও খেলোয়াড় তৈরি হতে পারলেন না? ১৪০ কোটির দেশে কি আমরা ব্যর্থ, একাধিক সুনীল ছেত্রী তৈরি করতে?” শুধু বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে এসে আইএসএল টুর্নামেন্ট দর্শকের কাছে রীতিমতো “আই ওয়াশ”, এমনই মত ফুটবলপ্রেমী অভিনেতার।
“সুনীলকে আমরা উদাহরণ হিসাবে দেখি। ও খুব অল্প বয়সে খেলা শুরু করেছে। সেখান থেকে নিজেকে তৈরি করেছে ও। যৌবনে ফুটবলার হব, এমন ভাবলে হবে না। কিশোর বয়স থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ১১-১২ বছর বয়সে শুরু করলে তবে গিয়ে ২০ বছরে কেউ সুনীল ছেত্রী হতে পারবে। তার জন্য তো পরিকাঠামোর প্রয়োজন”, বললেন শ্যালক সাহেব। তিনি আরও যোগ করলেন, “এত সরকারি, বেসরকারি অ্যাকাডেমি রয়েছে তারা কেউ ফুটবলার তৈরি করতে পারছে না? বিদেশে অ্যাকাডেমিগুলো খেলোয়াড়দের খাওয়াদাওয়া, পড়াশোনা সমস্ত দায়িত্ব নেয়। ফুটবলপ্রেমী হিসাবে একটাই কথা বলব, ভারতীয় ফুটবলের জন্য টাকা নেই তা নয়, সদিচ্ছাটাই নেই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর ৬ জুন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন সুনীল। কুয়েতের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে খেলেছিলেন বিদায়ী ম্যাচ। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ফুটবল সংস্থা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তাঁর প্রত্যাবর্তনের কথা জানিয়েছে। পোস্টে লিখেছে, “সুনীল ছেত্রী ফিরছেন। ভারতীয় ফুটবলের অধিনায়ক, নেতা এবং কিংবদন্তি মার্চে আন্তর্জাতিক দলে ফিরছেন।”
মার্চে দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে ভারতের। ১৯ মার্চ মলদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ভারত। ২৫ মার্চ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই দু’টি ম্যাচে খেলতে পারেন সুনীল। দু’টি ম্যাচই হবে শিলংয়ে।