শ্রমিকেরা ঠিক কোন জায়গায় আটকে, চিহ্নিত করা যাচ্ছে না! তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজে কী কী বাধা?

শ্রমিকেরা ঠিক কোন জায়গায় আটকে রয়েছেন তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনই জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বেশ কয়েকটি বিষয় এই উদ্ধারকাজকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে বলেও মত তাঁদের। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ে। ৫০ জন শ্রমিক তখন ভিতরে কাজ করছিলেন। ৪২ জন বেরিয়ে এলেও দ্বিতীয় আরও একটি ধস নামে ১৫০ মিটারের মধ্যে। আর তাতেই আটকে পড়েছেন আট শ্রমিক।

৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা। কিন্তু ঠিক কোথায় আটকে রয়েছেন, সেই জায়গাটিকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গের ভিতরে কোমরসমান জল এবং কাদা রয়েছে। যত ক্ষণ না সেই জল আর কাদা বার করা হচ্ছে, উদ্ধারকাজের বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই বিষয়টিই। আরও কয়েকটি বিষয়ে উদ্ধারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।

তাঁরা জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গের চারপাশে জল রয়েছে। সুড়ঙ্গের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছিল। সেখান থেকেই ধস নামে। প্রথমে পাম্প করে জল বার করতে হবে। ১০০ এবং ৭০ হর্সপাওয়ারের দু’টি পাম্প আনা হয়েছে। সেগুলি কাজে লাগিয়ে জল বার করার কাজ চলবে। উদ্ধারকারীরা ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকতে পেরেছেন। ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে প্রথমে ড্রোন পাঠিয়ে খোঁজ চালানো হতে পারে। উদ্ধারকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রোন পাঠিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। সুড়ঙ্গের উপরিভাগ খুঁড়েও ভিতরে ঢোকা যাবে না বলেও জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কারণ পুরু স্তরের পাথর। ফলে খননে বাধার মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ডেপুটি কমান্ডার সুখেন্দু দত্ত জানিয়েছেন, আর ২০০ মিটার দূরত্ব বাকি রয়েছে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে। কিন্তু এই ২০০ মিটারের মধ্যে যে ধ্বংসস্তূপ রয়েছে সেগুলি পরিষ্কার করাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.