স্ত্রীকে নাকি খুন করে কুচি কুচি করে কেটে নিজেই প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে ফেলেছেন! হায়দরাবাদের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর মুখে এ কথা শুনে স্তম্ভিত পুলিশ। তাঁর দাবি যাচাই করতে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশকর্মীরা।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে বছর পঁয়ত্রিশের বেঙ্কট মাধবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৮ জানুয়ারি স্থানীয় থানায় পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। বলা হয়, দাম্পত্য কলহের জেরে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন মহিলা। খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। শেষ কবে, কোথায় দেখা গিয়েছিল, কোথায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়। তাতেই এই তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। নিখোঁজ মহিলার স্বামী গুরু মূর্তি পুলিশকে জানান, তিনি নিজেই নাকি স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে ফেলেছেন। বছর পঁয়তাল্লিশের মূর্তির দাবি আদৌ সত্য কি না, তা যাচাই করে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুসারে, মূর্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বর্তমানে তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি দাবি করেন, গত ১৫ জানুয়ারি তিনি স্ত্রীকে খুন করেন। তার পরে সেই অপরাধকে চাপা দিতে স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন। শরীরের মাংস এবং হাড় আলাদা করেন। মাংসের টুকরোগুলিকে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে ফেলেন। হাড়গুলিকে গুঁড়ো গুঁড়ো করেন হামানদিস্তা দিয়ে। তিন দিন ধরে এই কাজ চলে। শেষে সেদ্ধ হওয়া মাংস এবং হাড়ের গুঁড়ো মীরপেট হ্রদে ফেলে দেন বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন মূর্তি।
মূর্তির বক্তব্য শোনার পর মীরপেট হ্রদে মহিলার দেহাবশেষ খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশি কুকুরও ব্যবহার করা হচ্ছে মহিলার দেহাবশেষ খুঁজতে। তবে বুধবার বেশি রাত পর্যন্ত হ্রদ বা তার আশপাশের চত্বর থেকে মহিলার কোনও দেহাবশেষ পুলিশের নাগালে আসেনি।