১০০ দিনের পাওনা টাকার বঞ্চনার প্রতিবাদে ও আবাস যোজনার টাকা আদায়ের দাবিতে তৃণমূলের ডাকে দিল্লিতে ধর্না দিতে যাওয়ার জন্য ট্রেন বাতিল করে দেয় রেল। আর এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূলের শক্তি দেখে ভয় পেয়ে ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর পাল্টায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, ট্রেন ভরে লোক নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই ওদের, তাই ইচ্ছে করে প্রোপাগাণ্ডা তৈরি করছে।
সুকান্ত মজুমদার আজ সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূল ইচ্ছাকৃত এই প্রোপাগান্ডা খাড়া করেছে, কারণ ট্রেন ভরে লোক নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই ওদের। ইচ্ছে করে ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “ট্রেনের বুকিংয়ের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সেই পদ্ধতি অনুসারে ট্রেন বুকিং করলে কেন ট্রেন দেওয়া হবে না? কিন্তু কোনো ফরমেট না মানলে কোনো নিয়ম না মানলে কি করে হবে? গোটা দেশটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনি যদি রিজার্ভেশন স্লিপ ফিলাপ না করে কাউন্টারের সামনে চিৎকার করেন রেল আমাকে টিকিট দিচ্ছে না, রেল কখনোই টিকিট দেবে না আপনাকে। রিজার্ভেশন স্লিপ ফিলাপ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। কিন্তু শুক্রবার ট্রেন বাতিলের কথা জানায় রেল। ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় রেক নেই বলে জানিয়েছে রেল। এরপরই তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এত ভয় কেন? প্রধানমন্ত্রীর দু’ চারদিন ছাড়া ছাড়া সবুজ ঝান্ডা দেখাচ্ছেন। ট্রেন উদ্বোধন করছেন। অথচ গরিব মানুষের সেই ট্রেনের অধিকার নেই?” দিল্লি যাওয়ার জন্য তৃণমূলের কর্মীরা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলে আসার পরে এই খবর পাওয়া যায়। অভিষেকের দাবি, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। আড়াই মাস আগে ঘোষণা করা কর্মসূচি সেপ্টেম্বর মাসে চিঠি দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। তারপরেও এই পদক্ষেপ। তাঁর দাবি, তৃণমূলের এই শক্তি দেখে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। ট্রেন বাতিল করে বিজেপি এটাই প্রমাণ করেছে।