১৩ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল ট্রেন, দিল্লি এমসে যাওয়ার পথে ট্রেনেই মৃত্যু তিন বছরের শিশুর

ঘন কুয়াশার কারণে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে দেরিতে চলছে ট্রেন। সেই বিপর্যয়ের কারণে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে সোমবার প্রাণ হারাল তিন বছরের শিশু। দিল্লির এমসে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। ১৩ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল ট্রেনটি। লখনউয়ে পৌঁছনোর আগেই প্রাণ হারায় সে। শিশুটির বাবা সাদ্দামের দাবি, সঠিক সময়ে দিল্লিতে পৌঁছতে পারলে বাঁচানো যেত শিশুটিকে।

সাদ্দাম উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা। তাঁর তিন বছরের মেয়ের নিউমোনিয়া হয়েছিল। স্থানীয় চিকিৎসকেরা দিল্লির এমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। বরাউনি থেকে নয়া দিল্লিগামী বিশেষ ট্রেনে চাপে তারা। তাদের দাবি, লখনউয়ে পৌঁছনোর আগেই শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়। তা দেখে হর্ষ ভরদ্বাজ নামে এক যাত্রী এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দেন এক যাত্রী। সেখানে ভারতীয় রেলকে ট্যাগ করেন তিনি।

পোস্ট দেখে লখনউয়ের আইশবাগ স্টেশনে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যাবস্থা করেন উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার)। স্টেশন মাস্টার এবং টিকিট পরীক্ষককেও বিষয়টি জানিয়ে রাখেন। লখনউয়ের আইশবাগ স্টেশনে নামার পরে রেলের চিকিৎসক শিশুটিকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আইশবাগ রেলপুলিশ জানিয়েছে, এর পরে সড়কপথে শিশুর দেহ দেওরিয়া নিয়ে যান তাঁর বাবা-মা। সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে দিল্লি পৌঁছনোর কথা ছিল ০২৫৬৩ বিশেষ ট্রেনটির। কিন্তু সেটি আইশবাগে পৌঁছয় সকাল ১০টায়। প্রায় ১৩ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল ট্রেনটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.