কানাডা, মেক্সিকোর পণ্যে ২৫% এবং চিনের ক্ষেত্রে আরও ১০% যোগ করে মোট ২০% আমদানি শুল্ক বসিয়ে মঙ্গলবার হুমকির খানিকটা বাস্তবায়িত করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার পরেই তিন দেশের তরফেই গেল পাল্টা তির। আমেরিকার পণ্যে শুল্কের পাঁচিল তোলার কড়া পদক্ষেপ করল চিন, কানাডা, মেক্সিকো। ভারতীয় সময় গভীর রাতে অবশ্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে ট্রাম্পের ফের হুমকি, এরও পাল্টা জবাব দেবেন তিনি শুল্ক একই হারে আরও বাড়িয়ে। আপাতত কানাডার জন্যই তাঁর এই হুঙ্কার। তবে বাকিরাও রক্ষা পাবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের প্রশ্ন, এই পাল্টার শেষ কোথায়? এর জেরে আখেরে মানুষই ভুগবেন বলে মনে করছে তারা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, পুরোদস্তুর শুল্ক যুদ্ধ শুরু হল। ঠিক এটাই কাঁপুনি বাড়াচ্ছিল শেয়ার বাজার-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নিকারীদের। কারণ, এতে মূল্যবৃদ্ধির ফের মাথা তোলার আশঙ্কা থাকায় আমেরিকার নিজের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনই দুর্বল হবে বিশ্ব অর্থনীতির ভিত। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ ফের চড়া মূল্যবৃদ্ধির কবলে পড়তে পারে। বন্ধ হতে পারে সুদ কমানোর রাস্তা। ধাক্কা খেতে পারে আর্থিক বৃদ্ধি।
ভারতের বাণিজ্য মহলের বক্তব্য, আমদানি শুল্ক কমিয়ে, বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে ও সে দেশ থেকে আরও বেশি পণ্য কেনার বার্তা দিয়ে কেন্দ্র কৌশলগত অবস্থান নিতে চাইছে বটে। তবে ট্রাম্পের চড়া শুল্কের হুমকি রয়েছে ভারতের উদ্দেশেও। ফলে এ আজকের ঘটনা পরম্পরায় উদ্বেগ বাড়ছে। তার উপর এই অবস্থায় দেশের বাজারে চাহিদার ঝিমুনি কাটানো মুশকিল। ক্রমশ ছোট হয়ে আসতে পারে রফতানির বাজারও। উল্টে কিছু বাজারে পাঁচিল ওঠায় বিশেষত ভারতে বিদেশি পণ্যে জোয়ার বেড়ে দেশীয় শিল্পকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে শুল্ক যুদ্ধ।