উইম্বলডন ফাইনালে হারের ধাক্কা এখনও টাটকা! দুঃস্বপ্নের রাত ভুলতে চান আনিসিমোভা

উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলস ফাইনালে যে আমান্ডা আনিসিমোভা এ ভাবে হারবেন তা ভাবা যায়নি। ইগা শিয়নটেকের কাছে ০-৬, ০-৬ হারতে হয়েছে তাঁকে। সেই হারের ধাক্কা এখনও টাটকা আনিসিমোভার মনে। শিয়নটেকের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে চান আমেরিকার টেনিস খেলোয়াড়। ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

কেরিয়ারের প্রথম বার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছিলেন মহিলাদের ১৩ নম্বর খেলোয়াড় আনিসিমোভা। কিন্তু ফাইনালের অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি তাঁর। ম্যাচ শেষে কোর্টে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলেন তিনি। হারের পর আনিসিমোভা বলেন, “এই হার হজম করা কঠিন। বিশেষ করে এত কম সময়ে। কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল এমন ভাবে শেষ হবে চাইনি। বড় ধাক্কা লেগেছে।”

আনিসিমোভা জানেন, এই ধাক্কা কাটিয়ে ফেরা কঠিন। তাই নিজের নিজের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। আমেরিকার টেনিস খেলোয়াড় বলেন, “এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ০-৬, ০-৬ হেরেছি। ফেরার মতো ইতিবাচক কিছু পাচ্ছিই না। কিন্তু এখানে আটকে গেলে চলবে না। আমাকে ফিরতে হবে। নিজেকেই সেটা বোঝাচ্ছি। এই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ফিরবই।”

শেষ বার ১৯১১ সালে উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলস ফাইনালে ডরোথি ল্যাম্বার্ট চেম্বার্স ৬-০, ৬-০ হারিয়েছিলেন ডোরা বুথবিকে। ১১৪ বছর পর ঘাসের কোর্টে আবার সেই দৃশ্য দেখা গেল। অবশ্য আরও এক বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৯৮৮ সালে স্টেফি গ্রাফ ৬-০, ৬-০ হারিয়েছিলেন নাতাশা জ়েরেভাকে। তবে সেটা ফরাসি ওপেনের ফাইনালে।

সেমিফাইনালে মহিলাদের শীর্ষ বাছাই এরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়েছিলেন আনিসিমোভা। সাবালেঙ্কার পাওয়ার টেনিস তিনি যে ভাবে সামলেছিলেন তা নজর কেড়েছিল। ফাইনালেও তিনি অঘটন ঘটাতে পারেন কি না সে দিকে নজর ছিল সকলের। পারেননি আনিসিমোভা। শিয়নটেকের অভিজ্ঞতার কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে। তবে আনিসিমোভার বয়স এখন ২৩। সামনে আরও সুযোগ তিনি পাবেন। সেই কথাই নিজেকে বোঝাচ্ছেন আনিসিমোভা। দুঃস্বপ্ন ভুলে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.