বোর্ডের অনুরোধ শুনলেন না দক্ষিণাঞ্চলের নির্বাচকেরা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের দলীপ ট্রফির দলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। সে কথা আপাতত শোনা হল না। ফলে দলীপে হয়তো খেলতে পারবেন না কেএল রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দর, মহম্মদ সিরাজ, সাই সুদর্শন এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
এক মাস আগেই রাজ্য সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের দলীপের দলে নিতে অনুরোধ করেছিল বোর্ড। তবে সেই নির্দেশে পাত্তা দেননি দক্ষিণাঞ্চলের নির্বাচকেরা। ২৬ জুলাই যে দল বেছে নিয়েছিলেন তাতে আপাতত কোনও বদল হচ্ছে না। সেই দলে থাকা তিলক বর্মাই একমাত্র বোর্ডের চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার।
দক্ষিণাঞ্চলের কর্তাদের দাবি, আঞ্চলিক দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচকদের কোনও ভূমিকা নেই। যদি অনুরোধ করতেই হয়, তা হলে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের রঞ্জি ট্রফিতে খেলা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হোক। যদি চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের খেলার মধ্যে রাখতে হয় তা হলে নিয়মিত ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলানো হোক। রঞ্জিতে যাঁরা ভাল খেলেছেন তাঁদেরই দলীপে খেলা উচিত বলে মত দক্ষিণাঞ্চলের নির্বাচকদের।
দক্ষিণাঞ্চলের এক কর্তা বলেছেন, “কেরল রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল (রঞ্জির ৯০ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার)। দারুণ মরসুম কেটেছে ওদের। তাই ওই দলের ক্রিকেটারদের দলীপে নিতেই হত। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই দলে জায়গা দিতে গেলে রঞ্জি জয়ী কেরলের অনেকেই বাদ পড়ত।”
দক্ষিণাঞ্চলে ১৫ জনের দলে কেরলের চার জন, হায়দরাবাদের তিন জন, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক থেকে দু’জন করে এবং গোয়া ও পণ্ডিচেরী থেকে একজন করে জায়গা পেয়েছেন। নির্বাচনী বৈঠকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলা খেলোয়াড়দের নেওয়ার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে।
গত বার দলীপে রানার্স হয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। তাই এ বার সরাসরি সেমিফাইনাল খেলবে। এখনও সময় বাকি। এখন দেখার দক্ষিণাঞ্চলের কর্তাদের অবস্থানে বদল হয় কি না।