প্রশস্ত হবে সিকিম যাওয়ার রাস্তা! বাংলা থেকে যাওয়ার বিকল্প সড়কে ৭৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

বর্ষার মরসুমে সেবক হয়ে সিকিম যাওয়ার রাস্তায় প্রায়শই ধস নামে। রাস্তায় ধসের কারণে সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগেও বার বার সমস্যা দেখা দেয়। এ বার সেই সমস্যা দূর করতে বিকল্প সড়ককে আরও প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরী জানিয়েছেন, ওই বরাদ্দে ইতিমধ্যে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

সেবক হয়ে যাতায়াতের রাস্তায় (১০ নম্বর জাতীয় সড়কে) ধস নামলে গরুবাথান, রিশপ হয়ে (৭১৭এ জাতীয় সড়ক) বিকল্প পথে সিকিমে যাতায়াত করা যায়। ওই বিকল্প সড়কের কিছু অংশকে প্রশস্ত করে দুই লেন-বিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই জাতীয় সড়কের ২৩ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা চওড়া করতে অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। লাভা মোড় থেকে পেডং বাইপাস পর্যন্ত ১৮.৪২ কিলোমিটার এবং রেশি থেকে রেনক পর্যন্ত ৫.২ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, বর্ষাকালে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচল বিঘ্নিত হলে এই পথটি বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। বছরের যে কোনও মরসুমে এই বিকল্প সড়কটিতে যান চলাচল করতে পারবে। এর ফলে এই অঞ্চলের পর্যটক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আরও গতি আসবে বলে আশাবাদী গডকরী।

দার্জিলিং জেলার করোনেশন সেতু বা বাঘপুল থেকে সিকিমের গ্যাংটক পর্যন্ত যোগাযোগের ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। টানা বৃষ্টির সময়ে এই রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধসের কবলে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে গরুবাথান, রিশপ হয়ে সিকিম যাওয়ার রাস্তা আরও প্রশস্ত হলে বর্ষার মরসুমে পাহাড়ি রাজ্যের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বস্তুত, গত বৃহস্পতিবারই সংসদে নিতিনের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সিকিমের সাংসদ ইন্দ্রহাং সুব্বা। ওই বৈঠকেও সিকিমের সঙ্গে সমতলের সড়ক যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.