কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী তাঁর পুত্র রাহুলকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর জন্য উদগ্রীব। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের একমাত্র লক্ষ্য তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদবের হাতে পটনার কুর্সি তুলে দেওয়া। বিহারে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে মঙ্গলবার এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এর পরেই তাঁর খোঁচা, ‘‘দুঃখের বিষয় হল, দু’টি আসনের (প্রধানমন্ত্রী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী) কোনওটিই আপাতত খালি নেই।’’ মঙ্গলবার বিহারের দ্বারভাঙ্গায় বিজেপির জনসভায় শাহ বলেন, ‘‘বিহার বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি অনেক তরুণকে টিকিট দিয়েছে। আরজেডি এবং কংগ্রেস কিন্তু দেয়নি।’’ এর পরেই ওই দুই দলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র কায়েম করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
বিহারের ভোটে প্রতিপক্ষ মহাগঠবন্ধনের দুই প্রধান দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, লালু এবং তাঁর পরিবার পশুখাদ্য, বিটুমিন এবং চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জমানায় প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাহ। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার থেকেই বিহারে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করেন রাহুল। মুজফ্ফরপুরের পাশাপাশি দ্বারভাঙ্গাতেও সভা করেন তিনি। রাহুলের সঙ্গী ছিলেন তেজস্বীও।
দু’টি সভাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন তাঁরা। রাহুল বলেন, “ভোটের জন্য সব করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি, মঞ্চে উঠে নাচতেও দ্বিধা করবেন না তিনি।” প্রসঙ্গত, এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ১২২টি আসনে। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।

