চার দিন ধরে পড়ছে টাকার দাম। রোজ গড়ছে সর্বনিম্ন হওয়ার নজির। সোমবার যেমন ডলার এক পয়সা উঠে এই প্রথম ৮৪.৩৮ টাকা হয়েছে। চার দিনে মোট বেড়েছে ৩০ পয়সা। প্রশ্ন উঠছে, আর কত নামবে টাকা? এতে রফতানিতে লাভ হলেও দুর্ভোগ বাড়ছে আমদানিকারীদের। বাড়ছে আরও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও। এ দিনই স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট টাকার আরও পতন এবং মূল্যবৃদ্ধি চড়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে। তবে আশ্বাস, তা হবে অল্প সময়ের জন্য। তার পরে টাকা বাড়বে। অস্থিরতা কাটবে শেয়ারেও।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকার উন্নতির জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা ডলার সূচককে চাঙ্গা করছে। তার উপরে ভারতে বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি লাগাতার শেয়ার বেচছে। সেই টাকা ডলারে বদলানোয় চাহিদা বাড়ছে তার। যা টাকাকে ফেলে ডলারের দাম বাড়াচ্ছে। ফলে ডলার সূচক না নামলে কিংবা বিদেশি লগ্নির প্রস্থানে দাঁড়ি না পড়লে টাকার দাম আরও কমতে পারে।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায় চৌধুরীর দাবি, ট্রাম্প জমানায় আমেরিকা ঘুরে দাঁড়াবে, এটাই ডলার শক্তিশালী হওয়ার কারণ। আর শেয়ার থেকে বিদেশি লগ্নি চিনে সরছে সে দেশে সরকারি ত্রাণ প্রকল্পে অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনায়। চিন্তার কারণ হল, টাকার পতনে আমদানির খরচ বাড়ছে। এতে মূল্যবৃদ্ধির চড়ার আশঙ্কা। পিছোচ্ছে সুদ কমার সম্ভাবনা। ভারতের ডলারে নেওয়া বিদেশি ঋণ শোধের খরচও বাড়ছে। টাকার পতন রুখতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ ছাড়া গতি নেই। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের অবশ্য ধারণা, ডলার ৮৫ টাকার দিকে এগোলেও আরবিআই হস্তক্ষেপ করার আগে দু’বার ভাববে। কারণ তা মূলধনী বাজারে অর্থনীতি সম্পর্কে বিরূপ ছবি তুলে ধরলে শেয়ার এবং টাকা আরও বেশি ধাক্কা খেতে পারে।