অভিনব উদ্যোগ পিসিবির। উপমহাদেশের বাইরে খেলতে গিয়ে সবথেকে বেশি যে সমস্যার মুখে পড়তে হয় এশিয়ার দলগুলিকে, তার সমাধানের রাস্তা খুঁজে বার করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো বিদেশ সফরে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যেই বড় অঙ্কের অর্থ খরচের কথা ঘোষণা করেন।
আসলে উপমহাদেশের দলগুলি যখনই ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফরে খেলতে যায়, সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয় পিচের গতি ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। উপমহাদেশের পিচে তেমন একটা বাউন্স পাওয়া যায় না। গতিও মেলে না খুব একটা। তাই উপমহাদেশের দলগুলি গতি ও বাউন্সি পিচের মোকাবিলা করার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারে না।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গতি ও বাউন্সের সঙ্গে সড়গড় হতে প্রায়শই ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগতভাবে সিমেন্টের পিচে প্লাস্টিক বলে প্র্যাক্টিস করতে দেখা যায়। অনেক সময় ভিজে টেনিস বল এবং ম্যাটিং পিচে অনুশীলন করতেও দেখা গিয়েছে ক্রিকেটারদের।
তবে পিসিবি একেবারে জুনিয়র পর্যায় থেকেই ক্রিকেটারদের এমন পরিবেশের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চায়। তাই তারা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৭ কোটি টাকা মূল্যের ড্রপ-ইন পিচের বন্দবস্তো করতে চলেছে করাচি এবং লাহোরে। বিদেশে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ঠিক যে ধরণের ড্রপ-ইন পিচে ক্রিকেট খেলা হয়, তেমনই ড্রপ-ইন পিচের ব্যবস্থা করা হবে করাচির নয়া নাজিমাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। লাহোরের কোথায় ড্রপ-ইন পিচের ব্যবস্থা করা হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
২০২২ সালেই ড্রপ-ইন পিচের কাজ শেষ হবে। তার পরেই স্টেডিয়ামে জুনিয়র পর্যায়ের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। পিএসএলের ড্রাফটের সময়েই আরিফ হাবিব গ্রুপের সঙ্গে এই নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পিসিবি। এমন ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তেমন কোনও ভাবনা চিন্তার কথা বিশেষ শোনা যায়নি।