ওভালে উত্তাপ বাড়ছে! মেজাজ হারিয়ে প্রসিদ্ধের সঙ্গে বিবাদ রুটের, সামলাতে আসরে আম্পায়ারেরা

আকাশদীপ ও বেন ডাকেটের পর এ বার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও জো রুটের মধ্যে বিবাদ হল মাঠে। ওভালে উত্তাপ বেড়েই চলেছে। তাতে মেজাজ ধরে রাখতে পারলেন না আপাত শান্ত রুটও। তাঁর ও প্রসিদ্ধের বিবাদ থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হল আম্পায়ারদের। বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন লোকেশ রাহুলও।

ঘটনাটি ঘটে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ২২তম ওভারে। প্রসিদ্ধের একটা বল রুটের ব্যাট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তা দেখে প্রসিদ্ধ কিছু একটা বলেন রুটকে। পরের বলেই জবাব দেন রুট। পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন তিনি। তার পরেই নিজেকে সামলাতে পারেননি রুট। হেঁটে প্রসিদ্ধের কাছে গিয়ে রুটকে কিছু বলতে শোনা যায়। তাঁকে দেখে যথেষ্ট উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। সাধারণত রুট এতটা মেজাজ হারান না। প্রসিদ্ধও চুপ ছিলেন না। তিনিও জবাব দেন।

পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসেন আম্পায়ারেরা। তাঁদের কাছে প্রসিদ্ধ কিছু বলেন। তিনি হয়তো বোঝাতে চাইছিলেন, তাঁকে রুট কী বলেছেন। তাঁর কথা শুনে আম্পায়ারেরা রুটের সঙ্গেও কথা বলেন। তার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন রাহুল। তিনিও আম্পায়ারদের কিছু একটা বলেন। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ ও রুটের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি।

তার আগে আকাশদীপ ও ডাকেটের বিবাদ হয়। শুরুটা হয় আকাশদীপের তৃতীয় ওভারে। তাঁর একটা বল ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে মারার চেষ্টা করেন ডাকেট। ব্যাটে-বলে হয়নি। আকাশদীপ ডাকেটেক কাছে গিয়ে কিছু একটা বলেন। ডাকেটও জবাব দেন। আকাশদীপের পরের বলেই রিভার্স স্কুপে চার মারেন তিনি।

তার পর থেকে দুই ক্রিকেটারের লড়াই চলছিল। মাঝেমাঝেই আকাশদীপের বল ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে মারার চেষ্টা করছিলেন ডাকেট। কোনও বল লাগছিল। কোনওটা লাগছিল না। একটা বল ডাকেটের প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন আকাশদীপ। আম্পায়ার আউট না দিলে শুভমন গিলকে রিভিউ নেওয়ার জন্য জোর করেন। দেখা যায়, বল উইকেটের উপর দিয়ে যাচ্ছে। আকাশদীপের পরের ওভারেই তিনটে চার মারেন ডাকেট।

৩৮ বলে ৪৫ রান করে আকাশদীপের বলে আরও এক বার রিভার্স স্কুপ মারার চেষ্টা করেন ডাকেট। এ বার বল ব্যাটের কানায় লাগে। উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেল ক্যাচ ধরেন। ৩৮ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ডাকেট। তার পরে দেখা যায়, আকাশদীপ ডাকেটের গলা জড়িয়ে ধরে কিছু একটা বলছেন। তাঁর মুখে হাসি থাকলেও ধারাভাষ্যকারদের মনে হয়েছে বিদ্রুপ করছেন তিনি। ডাকেটের মুখে কিন্তু হাসি ছিল না। কিছু ক্ষণের মধ্যে আকাশদীপকে সরিয়ে নিয়ে যান লোকেশ রাহুল। সাজঘরে ফেরার সময় ডাকেটকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল আকাশদীপের কথায় ক্ষুব্ধ তিনি।

সেই সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন সুনীল গাওস্কর, চেতেশ্বর পুজারা। তাঁদেরও মনে হয়েছে, ডাকেটকে আউট করে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি আকাশদীপ। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বোলারের ওভাবে গলা জড়িয়ে কথা বলা উচিত হয়নি বলে মনে করেছেন তাঁরা। এই কাজের জন্য শাস্তিও পেতে পারেন বাংলার পেসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.