উত্তর দিনাজপুরে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে টোটোচালককে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাবা। শনিবার রাতে দীঘল রায় নামে ওই ব্যক্তি ছেলে রঞ্জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আর তার পরই প্রকাশ্যে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য।
ধৃত রঞ্জনের বাড়ি হেমতাবাদের খাল বিষ্ণুপুর এলাকায়। তাঁর বাবা দীঘল রায় জানিয়েছেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ধার দেনা করে ছেলেকে টোটোটা কিনে দিয়েছিলাম। তিন মাস হল ধার শোধ হয়েছে। ছেলে আমাকে জানায়, বাবলু চৌধুরীর দোকানে পার্সেলটি দিয়ে এসেছিল সে-ই।’ তাঁর দাবি, ঘটনার দিন বারাহারই বাজারের কিছু আগে ২ মোটরসাইকেল আরোহী রঞ্জনের টোটো থামায়। এর পর তাঁকে বলে, তারা বাবলু চৌধুরীর দোকানে একটি পার্সেল দিতে যাচ্ছিল, কিন্তু মোটরসাইকেলটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই পার্সেলটি বাবলুবাবুর দোকানে পৌঁছে দিতে হবে। সেজন্য রঞ্জনকে ১০ টাকা দেয় তারা। এর পর বাবলু চৌধুরীর দোকানে পার্সেল পৌঁছে দেয় রঞ্জন। তার পরই ঘটে বিস্ফোরণ’।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
শনিবার রাতেই রঞ্জনকে আটক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রঞ্জনকে জেরা করছেন জেলার পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁর বয়ান থেকে দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকার চেষ্টা চলছে। টোটোটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার টোটোর আরোহী এক প্রৌঢ়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।