উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট জমা দিল

ন্যাক-এর মূল্যায়নে আরও ভাল অবস্থানে আসার চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিন দিনের আলোচনার পর এই বিশেষজ্ঞ কমিটি শনিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে তাদের রিপোর্ট ও সুপারিশ পেশ করল।

জাতীয় মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিষদ অর্থাৎ ন্যাক-এর মূল্যায়নের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার জন্য এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ন্যাক এর এই বিশ্ববিদ্যালয় এ থেকে বি++ তে নেমে এসেছে। বিভিন্ন সম্ভাবনাময় বিষয় চিহ্নিত করে মূল্যায়নের পরবর্তী পর্যায়ে উন্নতির সুযোগগুলি তুলে ধরার জন্য তৈরি করা হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি।

কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ইউজিসির প্রাক্তন সচিব ড: আর কে চৌহান। সদস্য ছিলেন হিমাচলপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বীর বালা আগরওয়াল, হরিয়ানার এমডি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক বি কে পুনিয়া এবং
চিতকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড: কে কে মিশ্র।

ন্যাক ‘পিয়ার টিম’কে চতুর্থ পর্যায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জমা দেওয়া স্ব-অধ্যয়ন প্রতিবেদন (এসএসআর), বর্তমান অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক নানা তথ্য এই তিন দিনের অনুশীলনে কমিটির বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা অনুষদ সদস্য, কর্মকর্তা, গবেষণা স্কলার এবং শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনটি প্রতিনিধি বিভাগে যান। এ ছাড়াও সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সুবিধা যেমন লাইব্রেরি, জাদুঘর, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কম্পিউটার সেন্টার, ইউজিসি-এইচআরডিসি ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে কমিটির সদস্যরা শনিবার রবীন্দ্র-ভানু মঞ্চে ৬০০ জনেরও বেশি লোকের সামনে তাঁদের মতামত জানান। সেখানে তাঁরা সুপারিশগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ড: আর কে চৌহান বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশা করি যে এটি মূল্যায়ণের পরবর্তী চক্রে তার কার্যক্রমগুলিকে সঠিকভাবে চিত্রিত করে আরও ভাল করবে”।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওম প্রকাশ মিশ্র বলেন, “আমরা পর্যালোচনা কাজ এবং প্রতিবেদনের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে কৃতজ্ঞ। ন্যাক-এর পরবর্তী চক্রে এটি আরও ভাল ফল করার জন্য স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ কমিটির সাথে সহযোগিতা করেছে। আমরা উন্নতির পাশাপাশি পদ্ধতিগত ডেটা এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থাও শুরু করেছি”।

উপাচার্য আরও জানান, সুপারিশ বাস্তবায়নে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি কার্যনির্বাহী পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.