আগামী জনগণনায় আনুমানিক খরচ হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের আদমসুমারিতে প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকারী ও তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার জনগণনা আধিকারিক নিযুক্ত থাকবেন।
শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবার জনগণনা হচ্ছে দেশে। ভারতে বর্তমানে জনসংখ্যা আনুমানিক ১৪০ কোটি। সেই হিসেবে জনপিছু গুনতির কাজে সরকারের ব্যয় হবে ৯০টাকারও বেশি! সোমবার ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনশুমারি কমিশনার (আরজিসিসিআই) মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনগণনা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
পূর্বঘোষণা মতোই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ওই সময় হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দুই রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা তুষারাবৃত থাকে। তাই ওই এলাকাগুলিতে ২০২৬-এর অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম জনগণনা। সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে জনগণনা হয়নি। ঘটনাচক্রে, গত মাসেই জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যও এ বারের জনগণনা পর্বে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৮ সালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে।