মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্ব বদলের সময় রোহিত-হার্দিককে সামলায় ক্রিকেট বোর্ড, দু’বছর পর মুখ খুললেন বোর্ড কর্তামুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্ব বদলের সময় রোহিত-হার্দিককে সামলায় ক্রিকেট বোর্ড,মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্ব বদলের সময় রোহিত-হার্দিককে সামলায় ক্রিকেট বোর্ড, দু’বছর পর মুখ খুললেন বোর্ড কর্তা

২০২৪ সালের আইপিএলের আগে গুজরাত টাইটান্স ছেড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। মুম্বই কর্তৃপক্ষ রোহিত শর্মাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে অধিনায়ক করেছিলেন হার্দিককে। সেই ঘটনা বিতর্ক তৈরি করেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। রোহিতের ভক্তেরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। আইপিএলের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। মুম্বই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করেই পরিস্থিতি সামলানো হয়েছিল। দু’বছর সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল।

শুধু রোহিতের ভক্তেরাই নন, নেতৃত্ব বদল নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সমর্থকদের মধ্যেও। হার্দিককে অধিনায়ক হিসাবে মানতে চাননি সমর্থকদের একটা বড় অংশ। সে সময় পর্দার আড়ালে থেকেই পরিস্থিতি সামলান বোর্ড কর্তারা। একটা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শুক্ল বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ঘটলে বিসিসিআই কর্তারা ক্রিকেটারদের পাশে থাকে। তাদের সব রকম ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করে। হার্দিক মুম্বইয়ের অধিনায়ক হওয়ায় রোহিতের ভক্তেরা মেনে নিতে পারেননি। রোহিত কিন্তু কাউকে উস্কানি দেয়নি। হার্দিকও জানত, কী ঘটতে পারে। ও পরিণত ক্রিকেটার। ঠিক ভাবে পরিস্থিতি সামলেছিল।’’ বোর্ড সহ-সভাপতি আরও বলেছেন, ‘‘হার্দিকের উপর ওই ঘটনা বা পরিস্থিতির প্রভাব পড়েনি। ওদের কেউ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়েও পড়েনি। ক্রিকেটারেরা পারফর্ম করলে ভক্তেরাও আবার মেতে ওঠেন। তাঁরাই হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।’’

শুক্ল বোঝাতে চেয়েছেন, সে সময় হার্দিক এবং রোহিত দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন বোর্ড কর্তারা। তাঁদের সংযত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি জটিল করতে পারে, এমন কোনও আচরণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ফলে শুরুর ক্ষোভ পরের দিকে ঠিক হয়ে যায়।

মুম্বইয়ে নেতৃত্ব হারালেও ভারতের অধিনায়কত্ব রোহিতের হাতেই ছিল। সে বার আইপিএলের পর ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় আবার রোহিতের নেতৃত্বে খেলেন হার্দিক। তা নিয়ে ভারতীয় শিবিরেও কোনও সমস্যা হয়নি। দু’জনেই অবদান রেখেছিলেন বিশ্বকাপে। ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.