অভিষেকে মারকুটে ব্যাটিং সহবাগ-পুত্র আর্যবীরের, রেহাই পেলেন না ভারতীয় দলে খেলা বোলারও

ভারতীয় ক্রিকেটে পদার্পণ হয়ে গেল আর্যবীর সহবাগের। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলে ফেললেন তিনি। লিগ ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন তিনি। বাবা বীরেন্দ্র সহবাগের মতোই মারকুটে ব্যাট করলেন তিনি। তাঁর আগ্রাসন থেকে রেহাই পেলেন না ভারতীয় দলে খেলা পেসারও।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে সেন্ট্রাল দিল্লি কিংসের হয়ে অভিষেক হল আর্যবীরের। এ বারই প্রথম এই প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। যশ ঢুল দলীপ খেলতে যাওয়ায় জায়গা ফাঁকা হয়েছে ওপেনিংয়ে। তাই সুযোগ পেলেন আর্যবীর।

বাবার মতোই ওপেন করতে নামেন আর্যবীর। শুরুতে একটু সাবধানে ব্যাট করেন তিনি। চতুর্থ বলে প্রথম রান করেন। কিন্তু তার পরেই গতি বদলান আর্যবীর। নবদীপ সাইনিকে পর পর দু’বলে চার মারেন তিনি। প্রথম বলে কভারের উপর দিয়ে তুলে মারেন আর্যবীর। দ্বিতীয় বল তিনি মিড অফ ও কভারের মাঝখান দিয়ে মারেন।

পরে রৌণক ওয়াঘেলার ওভারেও পর পর দু’বলে চার মারেন আর্যবীর। ভাল দেখাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন সহবাগের পুত্র। সহবাগের ছোট পুত্রও দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে খেলছে। ওয়েস্ট দিল্লি লায়ন্সে রয়েছে সে। কিন্তু এখনও অভিষেক হয়নি তার।

আগের ম্যাচে পরিবর্ত ফিল্ডার হিসাবে নেমেছিলেন আর্যবীর। একটি ক্যাচও ধরেন। সেই ম্যাচের শেষে তিনি জানতে পারেন যে পরের ম্যাচে অভিষেক হবে তাঁর। আর্যবীর বলেন, “শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করতে নেমে একটা ক্যাচ ধরেছিলাম। ম্যাচ শেষে জন্টি ভাই বলল, পরের ম্যাচে খেলব।” প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারেননি। পরের ম্যাচে সেটা করতে চান। আর্যবীর বলেন, “ভালই লাগছিল। শুরুর কয়েকটা বল খেলার পর আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম। কিন্তু বেশি ক্ষণ খেলতে পারলাম না। পরের ম্যাচে লম্বা ইনিংস খেলার চেষ্টা করব।”

এখনও বাবার পরামর্শ মেনে চলেন আর্যবীর। তিনি জানেন, যখনই মাঠে নামবেন, তাঁদের দিকে নজর থাকবে। আর্যবীর বলেন, “বাবা যা বলবে সেটা তো শুনতেই হবে। জানি আমরা দু’ভাই খেলতে নামলে সকলের নজর থাকে। কিন্তু সে সব নিয়ে বেশি ভাবি না। ব্যাট করতে নামলে রান ছাড়া অন্য কিছু মাথায় থেকে না। শুধু খেলার কথাই ভাবি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.