মাঠে নিয়মিত ব্যবধানে জল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতই গরম যে মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে ১০ মিনিটেই। সেই মাঠে বল লাফাচ্ছে খরগোশের মতো! আমেরিকায় চলা ক্লাব বিশ্বকাপের মাঠগুলি নিয়ে উঠছে এমনই অভিযোগ। পাশাপাশি, তীব্র গরমে ফুটবলারেরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশেষত ইউরোপের ক্লাবগুলি, যাদের এত তাপমাত্রায় খেলার অভ্যাসই নেই।
সিয়াটলের মাঠে সম্প্রতি খেলেছে প্যারিস সঁ জরমঁ। ম্যাচের পর প্যারিসের কোচ লুই এনরিকে বলেন, “গর্তে ভরা কোর্টে বাস্কেটবল খেলা হচ্ছে, এটা নিশ্চয়ই কোনও দিন দেখতে হবে না। এখানকার মাঠে ফুটবল এমন লাফাচ্ছে যে, মনে হচ্ছে খরগোশ খেলা করছে। কৃত্রিম ঘাসের মাঠকে এখন স্বাভাবিক ঘাসের মাঠ বানানো হয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যে মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপে এ রকম মাঠে খেলে অভ্যস্ত নই আমরা।”
রিয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহ্যাম বলেন, “সত্যি বলতে, মাঠ মোটেই ভাল নয়। তবে নরকের মতো খারাপও নয়। দু’দল একই মাঠে খেলছে। যদিও এই মাঠে শরীরের ভারসাম্য রাখা যাচ্ছে না। হাঁটুতে চাপ পড়ছে। আশা করি খেলোয়াড়েরা যাতে চোট না পায় সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।”
সিনসিনাটি, ফিলাডেলফিয়া এবং শার্লটের মতো শহরে ভালই গরম। তার উপর সম্প্রচারের কারণে ম্যাচ শুরু হচ্ছে দুপুর ৩টের সময়। তখন তাপমাত্রা থাকছে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলপানের বিরতি থাকলেও কোচেদের কৌশলে প্রভাব পড়ছে। চেলসির কোচ এনজ়ো মারেস্কা বলেছেন, “দুপুরে অনুশীলন করা খুব দরকারি। না হলে ম্যাচে নামা যাবে না।” ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের রিকভারির ক্ষেত্রেও সময় লাগছে। সমস্যা হচ্ছে না দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলির, যারা এ রকম তাপমাত্রায় খেলে অভ্যস্ত। ব্রাজিলের চারটি ক্লাবই শেষ ষোলোয় উঠেছে।
গরমের কারণে ঘাসও দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। জল দিয়েও লাভ হচ্ছে না। শক্ত ঘাসে সমস্যা হচ্ছে পাস দিতে। বল দ্রুত না গড়ানোয় খেলোয়াড়েরাও মানিয়ে নিতে পারছেন না।

