হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গরম আরও বাড়বে! প্রখর রোদে বেরোলে হিট স্ট্রোক এড়াতে কী করবেন, কোনগুলি নয়?

গরম কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। আবহাওয়া দফতরের সেরকমই পূর্বাভাস। বরং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক ঘণ্টায় প্রায় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে। ২৮ তারিখ থেকে কলকাতার তাপমাত্রা টানা রোজই ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু এই দহন দিনেও অনেকেরই বাড়ি বসে থাকার উপায় নেই। চাঁদিফাটা রোদ আর তীব্র গরমেই পা রাখতে হবে তপ্ত রাস্তায়। তাই গ্রীষ্মের দাপটে যাতে কাবু হয়ে না যান, তার জন্য আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। দিনের বেলা বাইরে বেরোলে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা জরুরি। এই গ্রীষ্মে নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করবেন, কোনগুলি নয়?

দিনের বেলা প্রখর রোদে বাইরে বেরোতে হলে সুস্থ থাকতে কী করবেন?

১) সানস্ক্রিন না মেখে ভুলেও দিনের বেলা রাস্তায় বেরোবেন না। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তা ছাড়়া সানস্ক্রিন না মাখলে রোদে পুড়ে ট্যান পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তেমনটি না চাইলে, সানস্ক্রিনের সঙ্গে এই গরমে বন্ধুত্ব করে নিন।

২) দিনের বেলা বাইরে রোদ্দুরে বেরোতে হলে অবশ্যই আলমারি থেকে সুতির পোশাকটি বার করুন। রোদ, ঘাম আর উত্তাপে সিন্থেটিক, জর্জেট পরলে অস্বস্তি আরও বেড়ে যেতে পারে।

৩) সূর্যের দিকে তাকাতে হচ্ছে না, বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরোলেই রোদের কারণে চোখে ধাঁধা লেগে যাচ্ছে। তাই সানগ্লাস ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। রোদচশমা ছা়ড়াও মাথায় থাকুক ছাতার ছায়া।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

৪) অফিসের ব্যাগে জল রাখতে ভুলবে না। অফিসে পৌঁছে গলা ভিজিয়ে নেবেন মনে করে। জলের বোতল সঙ্গে না নিয়ে বেরোনো বোকামি হবে। প্রবল রোদে যে কোনও সময় তেষ্টা পেতে পারে।

৫) কেবল সাদা জল না খেয়ে, তাতে গ্লুকোজ কিংবা ওআরএস মিশিয়ে খেতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ জলের সঙ্গে মিশে বেরিয়ে যায়। জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই পানীয়গুলি।

কোন কাজগুলি করবেন না?

১) সিন্থেটিক, জর্জেট কিংবা অস্বস্তি হতে পারে এমন কোনও পোশাক পরবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন সুতির পোশাক পরার। দিনের বেলা বলে নয়, রাতেও সুতির হালকা পোশাক পরে বাইরে বেরোতে পারলে ভাল।

২) রাস্তার ধারের খাবার, কাটা ফল খাবেন না। গরমে অল্পেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর। তাই অনেকেই পথ হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার দোকানের কাটা ফলের দোকানে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। তবে এই গরমে ডায়েরিয়া, পেটখারাপের ঝুঁকি এড়াতে কাটা ফল খাবেন না।

৩) গরমে ঘেমেনেয়ে গলা ভেজাতে রঙিন পানীয়, নরম পানীয়ে চুমুক দেন অনেকেই। শরীরের জন্য এই ধরনের পানীয় একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং ডাবের জল বা আখের রস খেতে পারেন।

৪) দিনের বেলা হাতাকাটা জামা কিংবা হাঁটুঝুল পোশাক না পরাই শ্রেয়। রোদ লেগে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সূর্যের আলো যাতে ত্বক স্পর্শ করতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।

৫) যাওয়া-আসার পথে ডোবা তেলে ভাজা লোভনীয় খাবার চোখে পড়তেই পারে। ইচ্ছা হলেও গরমে ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছা সংবরণ করুন। না হলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.