গুজরাটে শুরু হল ভারতের সবচেয়ে বড়ো কৃষক সংগঠন নের ১৪তম অখিল ভারতীয় অধিবেশন

দান্তিওয়ারা,গুজরাট,২১শে ফেব্রুয়ারি। আজ থেকে তিন দিনের জন্য শুরু হল ভারতীয় কিষাণ সংঘের ১৪তম অখিল ভারতীয় অধিবেশন। এই অধিবেশন হচ্ছে গুজরাট রাজ্যের ‘সর্দার কৃষিনগর দান্তিওয়ারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ। সারা ভারতের ৩৫ টি প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০০০ কার্যকর্তা এই অধিবেশনে যোগদান করেছেন। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৫ জন কার্যকর্তা এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘গো- কৃষি – বাণিজ্য’।

এই অধিবেশনে যোগদান করেছেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের অখিল ভারতীয় সভাপতি – বদ্রী নারায়ণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহিনী মোহন মিশ্র, সংগঠন মন্ত্রী দীনেশ কুলকার্নি, সম্পর্ক প্রমুখ রামলাল, নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ ড. সুমন বৈরী, SDKV-এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. রবীন্দ্র চৌহান ও অন্যান্য আধিকারিক বৃন্দ।

এ দিন শুরুতেই ভারতীয় কিষাণ সংঘের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর ভারত মাতা, ভগবান বলরাম ও দত্তপন্থ বাপুরাও ঠেংরি’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন উপস্থিত আধিকারিক বৃন্দ।

কুলকার্নি বলেন, সবুজ বিপ্লবের কারণে আমরা খাদ্যে সমৃদ্ধ হয়েছি কিন্তু অধিক কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করার কারণে কৃষিজমি নষ্ট হবার পাশাপাশি বিষযুক্ত ফসল খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা স্বাবলম্বী হবো ঠিকই কিন্তু আমাদের চাষাবাদের সাথে যুক্ত যারা থাকেন, তাদের জীবনের সার্বিক ভারসাম্য যেন বজায় থাকে।

মোহিনী বলেন, পশুপালনের সাথে মিলিয়ে চাষাবাদ করতে হবে। সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষাবাদ করতে হবে। গো-আধারিত চাষাবাদ এবং তার বাণিজ্যের মাধ্যমে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবে। জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ ফিরিয়ে আনতে হবে যাতে কৃষিকে বিষমুক্ত করা যায়।

উপাধ্যক্ষ সুমন বলেন, ভারত সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সেখানে কৃষি ও কৃষকের ভূমিকা অপরিসীম। সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। সেই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত করতে ভারতীয় কিষাণ সংঘকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

এই বৈঠক উপস্থিত আছেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি অনিমেষ পাহাড়ি। তিনি বলেন, তিন দিনের এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আমরা অনেক কিছুই শিখব,বিশেষ করে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ। সেগুলো আমরা আমাদের রাজ্যে প্রয়োগ করব। পাশাপাশি কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের চাষ করার জন্য অনুরোধ করব।সেইসাথে পিছিয়ে পড়া জনজাতি মানুষদেরকে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষি ক্ষেতে উপযুক্ত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব। সেইসাথে প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে আয়ুষ্মান ভারত হেলথ কার্ড আমরা করাবই – এ কথা জোরের সাথে বলেন তিনি।

এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত আছেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী সদস্য কল্যাণ কুমার মন্ডল ও পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক আশিস সরকার ও অন্যান্য অনেক কার্যকর্তাবৃন্দ।

মিলন খামারিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.