হার্দিকের নাম না করে কি তাঁকে খোঁচা মারলেন বরুণ চক্রবর্তী? ভারতীয় স্পিনারের কথায় তেমনই ইঙ্গিত। গত মাসে এশিয়া কাপের সময় ২০ কোটি টাকার ঘড়ি পরেছিলেন হার্দিক। সেই ঘড়ি ছিল খবরের শিরোনামে। বরুণের মতে, তিনি তিন লক্ষ টাকার ঘড়ি পরেও বন্ধুদের সামনে যেতে পারবেন না। কারণ, টাকার গুরুত্ব তিনি বোঝেন। তাই অযথা টাকার গরম দেখাতে চান না তিনি।
ক্রিকেট সঞ্চালক গৌরব কপূরের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন বরুণ। তিনি জানিয়েছেন, সাফল্য পেলেও এখনও মধ্যবিত্ত মানসিকতা নিয়ে চলেন তিনি। বরুণ বলেন, “আমি অভাব দেখেছি। ফিক্সড ডিপোজ়িট ছাড়া আমি কোথাও টাকা জমাতে পারিনি। আমার মানসিকতা এখনও মধ্যবিত্ত। আমি জানি, অর্থের ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই সেই অর্থ বুঝে খরচ করা উচিত।”
এখন আইপিএল ও ভারতীয় দলে খেলার সুবাদে বরুণের অর্থের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সেই অর্থ দিয়ে তিনি নিজের জীবন না বদলে অপরের জীবন বদলাতে চান। বরুণ বলেন, “আমার মনে হয়, টাকা দিয়ে নিজের জীবন না বদলে অন্যের জীবন বদলানো যায়। তাতে টাকার সঠিক ব্যবহার হয়। তাই ৩০ বা ৪০ লক্ষ টাকার ঘড়ি কিনতে আমার অপরাধ বোধ হয়। সেই টাকা দিয়ে কারও দুই বা তিন পুরুষের অর্থের সমস্যা মেটানো যায়।”
এক বার তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ঘড়ি কিনেছিলেন বরুণ। তবে সেটি আলমারিতেই রাখা আছে। ভারতীয় স্পিনার বলেন, “এক বার পছন্দ হয়েছিল বলে তিন লক্ষ টাকার একটা ঘড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু সেটাও পরতে পারি না। আলমারিতে রাখা আছে। আসলে আমি যাদের সঙ্গে বড় হয়েছি তাদের মধ্যে অনেকে খাবার ডেলিভারি দেয়। অনেকে অন্য ছোট কাজ করে। তারা সকলেই আমার বন্ধু। সেই বন্ধুদের সামনে দামি ঘড়ি পরলে মনে হবে, ওদের অসম্মান করছি। আমি পরতেই পারব না।”
হার্দিকের নাম করেননি বরুণ। তবে তাঁর কথার ইঙ্গিত সে দিকে হতেও পারে। দামি ঘড়ি পরার অভ্যাস হার্দিকের রয়েছে। এর আগেও অনেক দামি ঘড়ি পরেছেন তিনি। হার্দিক জীবন সে ভাবেই উপভোগ করেন। তবে বরুণের মানসিকতা অন্য। সেই মানসিকতাই তিনি প্রকাশ করেছেন সকলের সামনে।