Taslima, Hindu, হিন্দু নির্যাতনের ছবি-সহ সামাজিক মাধ্যমে দৃঢ় প্রতিবাদ তসলিমার

 পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতনের ছবি-সহ সামাজিক মাধ্যমে দৃঢ় প্রতিবাদ করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সমর্থনে প্রতিক্রিয়াও এসেছে যথেষ্ঠ।

রবিবার বেশি রাতে তিনি লিখেছেন, “অবিশ্বাস্য দৃশ্য। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ভয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহে পালাচ্ছে। হিন্দুরা সংখ্যালঘু মুসলমানদের কাছে হাতজোড় করে প্রাণভিক্ষা চাইছে!” প্রতিক্রিয়ায় বেলা নাসরিন লিখেছেন, “ভারত সরকারের উচিত এদের বিচার করা, এই মৌলবাদ খুব ভয়ঙ্কর জাতি, ওরা ভারতকেও শেষ করে দেবে, সাবধানে থেকো বুবু।”

রমেন্দ্র কুমার সরকার লিখেছেন, “ওখানে হিন্দু ১৫/২০ শতাংশ। বজ্জাত লুটেরাগুলো নিজের জাতের পরিচয় ভাল ভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে।“ গৌরাঙ্গ মালাকার লিখেছেন, “যারা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়, পুলিশকে আক্রমন করে, এমনকি বিএসএফকেও আক্রমন করে তারা নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দুদের সাথে যা খুশি তাই করতে পারে।”

ইদ্রিশ আলি লিখেছেন, “এটা ভারতের ব্যর্থতা। মৌলবাদীদের কাছে ভারত আর জিম্মি। মৌলবাদীদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে না দিলে এমন ঘটনা অহরহ ঘটবেই।” সঞ্জয় কুমার দাস লিখেছেন, “সংবিধান (আর্টিকেল 30A) সংশোধন করে যেদিন সমস্ত রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্ম শিক্ষাকে ব্যান করা হবে, সবার সিলেবাস এক হবে, সেদিন থেকে নতুন ভারতীয় প্রজন্ম তৈরী হবে, নয়তো ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রামধনু ধীরে ধীরে রংধনুতে পাল্টে যাবে এটা কি বাম কংগ্রেস জানতো না? এতো শিক্ষিত এরা!”

শিবশঙ্কর ঘোষ লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর অবস্থা। বাংলাদেশের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছি।” পিনাকিশঙ্কর চৌধুরী লিখেছেন, “মমতার কবে বিচার করে আজীবন জেল হবে?”

অচিন্ত্য চৌধুরী লিখেছেন, “অবিশ্বাস করার কিছু নেই, হিন্দুরা (বাঙালী) চিরকালই আত্মরক্ষায় অপটু। নিজেদের ধৰ্মকে নিজেরাই ঘৃণা করে, বিদ্রুপ করে, সেই সুযোগ নিয়ে ৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ বর্ডার জুড়ে সিপিএম টেবিল চেয়ার নিয়ে বসে থাকতো, টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার মুসলিমদের অবাধে এই দেশে ঢুকে থাকার, কাজ করার লাইসেন্স (ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড) দিতো, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে, ওদের ভোট ব্যাঙ্ক করে সমস্ত মুসলিমদের তৃণমূল তার ছত্রছায়ায় আনার জন্য ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িকতার কাজ কর্ম শুরু করে, এবারও বিধানসভায় ৬০০ মাদ্রাসার অনুমোদন দেয় সরকার। রেড রোডে হিন্দু ধৰ্মকে গন্ধা ধৰ্ম বলে আখ্যায়িত করেছেন। স্বাধীনতার আগে থাকতেই মুর্শিদাবাদ ও মালদহে হিন্দুরা সংখ্যালঘু ছিল, দ্রুত তা বৃদ্ধি পেয়েছে সরকারের মদতে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি না চালু করার ফলে, কঠোরভাবে পরিবার পরিকল্পনা না চালু করার ফলে আজ হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে কোণঠাসা, প্রায় ৭-৮টা জেহাদী কর্মকাণ্ডের গোষ্ঠীদের নিশ্চিত বসবাসের ঠিকানা পশ্চিমবঙ্গ। হিন্দুরা এবার কোথায় পালায় সেটাই দেখার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.